রোড ট্যাক্স বাড়তে চলছে এই শহরে, বৈদ্যুতিক গাড়ি থাকবে ছাড়ের তালিকায়
মাত্রাছাড়া পরিবেশ দূষণের জন্য আগাগোড়া সচেতনতা দেখিয়ে এসেছে রাজধানী দিল্লির সরকার। যে কারণে বৈদ্যুতিক যানবাহন কেনায়...মাত্রাছাড়া পরিবেশ দূষণের জন্য আগাগোড়া সচেতনতা দেখিয়ে এসেছে রাজধানী দিল্লির সরকার। যে কারণে বৈদ্যুতিক যানবাহন কেনায় মানুষের উৎসাহ বাড়াতে ২০২০ সালেই বৈদ্যুতিক গাড়ি নীতি (EV Policy) চালু করা হয়েছিল। যত সময় গিয়েছে কেজরিওয়াল সরকার ইলেকট্রিক যানবাহনের প্রতি হরেক আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা নিয়ে এসেছে। এমনকি এই জাতীয় গাড়িকে রেজিস্ট্রেশন ফি ও রোড ট্যাক্সের আওতা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তবে এবারে দিল্লিতে খনিজ জ্বালানি চালিত ব্যক্তিগত এবং বাণিজ্যিক যানবাহনের ওপর ‘রোড ট্যাক্স বৃদ্ধি’র কোপ পড়তে চলেছে।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি দিল্লির অর্থ দফতরের কাছে পরিবহণ দফতর নির্দিষ্ট বিভাগের যানবাহনের পথ কর বাড়ানোর একটি প্রস্তাবনা পেশ করেছে। অর্থ দফতরের তরফে একবার ছাড়পত্র মিললেই সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করবে দিল্লির পরিবহন দফতর। দিল্লিতে জ্বালানীর বিকল্প এবং দাম অনুযায়ী ব্যক্তিগত যাত্রী গাড়ির পথ কর বর্তমানে ৪% থেকে ১২.৫% পর্যন্ত নেওয়া হয়। অন্যদিকে কোনো সংস্থার নামে নথিভুক্ত থাকলে সেই গাড়ির রোড ট্যাক্স প্রায় ২৫% বেশি। দিল্লি সরকার পথ কর থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ২,০০০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে, যা মোট রাজস্বের চাইতে ৪% বেশি।
দিল্লিতে উল্লেখযোগ্যহারে ব্যাটারি চালিত গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এর প্রভাব যে রোড ট্যাক্সের উপর প্রতিফলিত হবে তা মেনে নিয়েছে পরিবহণ দফতর। এই প্রসঙ্গে এক সরকারি আধিকারিক বলেছেন, “রাজ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধির সাথেই পথ কর আদায়ের পরিমাণ কমছে। রাজস্বের এই শূন্যস্থান আমাদের পূরণ করতে হবে।” জানা গেছে, প্রিমিয়াম অর্থাৎ উচ্চমূল্যের লাক্সারি গাড়ির রোড ট্যাক্স বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে দিল্লি পরিবহণ দফতর। যেসব গাড়ির মূল্য ২০-২৫ টাকা বা তার বেশি, সেগুলির জন্য একটি নতুন তালিকি তৈরি করা হবে।
প্রসঙ্গত, দিল্লির ইলেকট্রিক ভেহিকেল পলিসি অনুযায়ী দুই এবং চার চাকার বৈদ্যুতিক গাড়িকে যে কোনো রকমের পথ কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই নীতি অনুযায়ী ২০২৪-এর মধ্যে দিল্লিতে বিদ্যুৎ চালিত সক্রিয় যানবাহনের পরিমাণ ২৫% করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে কেজরিওয়াল সরকার। মার্চে সে রাজ্যে বিক্রি হওয়া মোট যানবাহনের ১২.৬% বৈদ্যুতিক। যেখানে ফেব্রুয়ারিতে এর পরিমাণ ছিল ১০.৬%।