পথচলতি মানুষদের সতর্ক করতে শব্দহীন বৈদ্যুতিক গাড়িতে যোগ হতে পারে নকল ইঞ্জিনের আওয়াজ

ভারত বর্তমানে বৈদ্যুতিক গাড়ির দিকেই অগ্রসর হচ্ছে, কিন্তু এর পরিকাঠামো, দাম এবং রেঞ্জ ছাড়াও অন্যান্য কিছু উদ্বেগ রয়েছে। আসলে বিদ্যুৎচালিত গাড়িগুলি এতটাই শব্দহীনভাবে রাস্তায় চলে,…

ভারত বর্তমানে বৈদ্যুতিক গাড়ির দিকেই অগ্রসর হচ্ছে, কিন্তু এর পরিকাঠামো, দাম এবং রেঞ্জ ছাড়াও অন্যান্য কিছু উদ্বেগ রয়েছে। আসলে বিদ্যুৎচালিত গাড়িগুলি এতটাই শব্দহীনভাবে রাস্তায় চলে, যা পথচলতি মানুষের ক্ষেত্রে বিপদের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। ইতিমধ্যেই বিশ্বের একাধিক দেশ এই সমস্যার সমাধানের পথ খুঁজে পেয়েছে। এখন ভারতও সেই পথ খুঁজে বের করতেই অধিক আগ্রহী। সেই কারণে কেন্দ্র খুব শীঘ্রই বৈঠকে বসতে চলেছে। এই সমস্যার সমাধান স্বরূপ ইলেকট্রিক গাড়িগুলির ইঞ্জিনে কৃত্রিম শব্দের ব্যবহার করার কথা ভাবছে সরকার। যাতে পথচলতি মানুষ পেট্রোল-ডিজেল চালিত যানবাহনের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক গাড়ির শব্দ শুনে সতর্ক হতে পারেন।

সূত্রের খবর অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রক ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গে সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে। যদি তা সবুজ সঙ্কেত পায়, তবে ইলেকট্রিক ভেহিকেলের কৃত্রিম আওয়াজ শব্দ দূষণ ঘটাবে কিনা তা দেখার জন্য পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে। একবার তা অনুমোদিত হয়ে গেলে, দেশের সমস্ত ইলেকট্রিক গাড়িতে এই শব্দ উৎপন্নকারী যন্ত্র ব্যবহার করার জন্য গাড়ি সংস্থাগুলিকে নির্দেশ পাঠাবে কেন্দ্র।

এই আওয়াজ উৎপন্নকারী যন্ত্রটির পোশাকি নাম অ্যাকুস্টিক ভেহিকেল অ্যালার্ট সিস্টেম বা AVAS। জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়িগুলি পিছন দিকে যাওয়ার সময় যে শব্দ উৎপন্ন হয়, এই যন্ত্র থেকে অনেকটা সেই জাতীয় শব্দ বের হয়।

যদিও ইতিমধ্যেই বিশ্বের একাধিক দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থাটি চালু করা হয়েছে। পথচলতি মানুষকে জ্ঞাত করার কারণে গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে এই শব্দ ব্যবহার করতে হবে। এই মর্মে অনেক দেশেই আইন পাস করানো হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন। তবে এই শব্দ উৎপন্নকারী যন্ত্র ব্যবহার করা হলেও প্রথাগত পেট্রোলচালিত গাড়ির তুলনায় বিদ্যুৎচালিত গাড়ি থেকে কম আওয়াজ বেরোবে।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন