Floating Car: পেট্রল-ডিজেল বা ব্যাটারিতেও নয়! স্রেফ চুম্বকের টানে 230 কিমি স্পিডে ছুটে চমকে দিল গাড়ি
দিনকে দিন প্রযুক্তি যে কোন জায়গায় যাচ্ছে, তা সাধারণ মানুষের কল্পনার অতীত। কল্পবিজ্ঞান প্রধান চলচ্চিত্রে দেখানো আজব সব...দিনকে দিন প্রযুক্তি যে কোন জায়গায় যাচ্ছে, তা সাধারণ মানুষের কল্পনার অতীত। কল্পবিজ্ঞান প্রধান চলচ্চিত্রে দেখানো আজব সব ঘটনা বিশ্বের তাঁবড় বিজ্ঞানীদের হাত ধরে ক্রমে বাস্তবতার রূপ পাচ্ছে। এবার তেমনই আর এক অবিশ্বাস্য ঘটনার সাক্ষী থাকলো সমগ্র নেটপাড়া। কী সেই ঘটনা শুনবেন? পেট্রোল-ডিজেল এমনকি ব্যাটারি ছাড়াই ছুটল গাড়ি। প্রায় ৮ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ ট্র্যাকের চলতি পথে মাটি থেকে শূন্যে ভাসলো ভারী সেডান গাড়ি। অদ্ভুত না বিষয়টা?
আসলে চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম শিনহুয়ার খবর, সিচুয়ান প্রদেশে দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত জিয়াওতং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গত সপ্তাহে মোট ৮টি সেডান মডেলের গাড়ির উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছেন। রাস্তায় ৭.৯ কিলোমিটার পর্যন্ত দীর্ঘ ট্র্যাকে একাধিকবার মাটি থেকে শূন্যে প্রায় ৩৫ মিলিমিটার পর্যন্ত ভেসে ওঠে গাড়িটি। যা সম্ভব হয়েছে ট্র্যাকে পাতা চুম্বকের প্রভাবে। এমনকি গাড়ির নীচের অংশেও চুম্বক লাগানো হয়েছে।
গাড়ির একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়েছে। ‘ম্যাগনেটিক লেভিটেশন’ প্রযুক্তির সাহায্যে এই অসাধ্য সাধন করেছেন গবেষকরা। এই প্রযুক্তি কোন ভারী পণ্য এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে ব্যবহৃত হয়। ট্রাক এবং গাড়ির চৌম্বক ক্ষেত্রের বিকর্ষণের প্রভাবে গাড়িগুলি যেমন গতি পেয়েছে, আবার চলতে চলতে ভেসেও উঠতে দেখা গেছে ভিডিয়োতে। যদিও সেখানে ধীরগতিতে চলাকালীন গাড়িটিকে দেখানো হয়েছে। কিন্তু ‘ম্যাগলিভ’ নামক প্রযুক্তির সাহায্যে গাড়িগুলি উচ্চগতিতে ছোটানো সম্ভব হয়েছে।
সূত্রের খবর, ঘন্টায় প্রায় ২৩০ কিমি পর্যন্ত গতিবেগ তুলতে পেরেছিল একটি গাড়ি। তবে চালক গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন কিনা, তা স্পষ্টভাবে জানানো হয়নি। তবে ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে গাড়িতে কোনো স্টিয়ারিং নেই। কারণ চালক পূর্ব নির্ধারিত পথ কেবল অনুসরণ করেছেন মাত্র। এই প্রসঙ্গে গবেষকদের প্রধান জিগাঙ্গ ডেঙ্গ বলেন, “আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ হবে বাস্তবিক পরিস্থিতিতে গাড়িগুলি চালানো এবং মাটি থেকে ভাসিয়ে তোলা।”