Citroen C3: সিট্রোয়েন-এর প্রথম ভারতে তৈরি গাড়ি জুলাইয়ে লঞ্চ হবে, Tata Punch, Maruti Ignis-দের সাথে চলবে লড়াই
গত বছর C5 Aircross এসইউভির হাত ধরে ভারতে পা রেখেছিল ফরাসি গাড়ি নির্মাতা Citroen (সিট্রোয়েন)। আর এখন সংস্থাটি এ দেশে...গত বছর C5 Aircross এসইউভির হাত ধরে ভারতে পা রেখেছিল ফরাসি গাড়ি নির্মাতা Citroen (সিট্রোয়েন)। আর এখন সংস্থাটি এ দেশে তাদের দ্বিতীয় মডেল হিসাবে খুব শীঘ্রই বহু প্রতীক্ষিত C3 কম্প্যাক্ট ক্রসওভার লঞ্চ করতে চলেছে। ইউরোপে বিক্রি হওয়া Citroen C3-এর মতো একই নাম হলেও, ভারতে আসতে চলা মডেলটির সাথে সেটির পার্থক্য থাকবে। এটি সিট্রোয়েনের নতুন কমন মডুলার প্ল্যাটফর্ম (CMP) এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। যা প্রধানত ভারত ও দক্ষিণ আমেরিকার বাজারের জন্য ডেলেলপ করা হয়েছে।
Citroen C3 নিয়ে প্রত্যাশার পারদ ক্রমশ চড়ছে। কারণ এটি মেড-ইন-ইন্ডিয়া। এর ৯০ শতাংশ কম্পোনেন্টস ও পার্টস স্থানীয় বাজার থেকে নেওয়া হয়েছে। লোকালাইজেশন বেশি হলে গাড়ি উৎপাদনের খরচ কমবে। ফলে মানুষের হাতের নাগারেল মধ্যে দাম রাখতে সুবিধা হবে সিট্রোয়েনের। দেশে চার মিটারের কম দৈর্ঘ্যের বিভিন্ন কম্প্যাক্ট এসইউভির সঙ্গে প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হবে Citroen C3। ডিলারদের সূত্র বলছে, জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে ভারতে লঞ্চ হবে এটি। এখন থেকেই ২১ হাজার টাকার টোকেন মূল্যে বুকিং গ্রহণ চলছে। আপকামিং এই গাড়ি সম্পর্কে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নীচে আলোচনা করা হল।
Citroen C3 বাহ্যিক ডিজাইন
সিট্রোয়েন ভারতে তাদের দ্বিতীয় গাড়িকে এসইউভি বলতে নারাজ। তাদের মতে, এটি টুইস্টের সাথে এক ধরনের হ্যাচব্যাক। আসলে সি৩ বি+ সেগমেন্টের গাড়ি যার ডিজাইন এবং স্টাইলিং প্রিমিয়াম হ্যাচব্যাক ও এসইউভি থেকে অনুপ্রাণিত। নজর কাড়তে এতে রয়েছে মাসকিউলার প্রোফাইল, রাগেড সাইড এবং আন্ডারবডি ক্ল্যাডিং এবং স্পোর্টি অ্যালয় হুইল। গাড়িটি লম্বায় ৩৯৮০ মিলিমিটার এবং গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ১৮০ মিলিমিটার।
সিট্রোয়েন সি৩-এর ক্রোম লাইন ফিনিশিংকে লোগোর প্রতিটি পাশ থেকে ভীষণ দক্ষতার সাথে প্রসারিত করে এলইডি ডিআরএলের সাথে মিশিয়ে গাড়িটির ফ্রন্ট লুকসকে অভাবনীয় করে তুলেছে। হ্যালোজেন হেডল্যাম্পের পাশাপাশি এসইউভি টিতে নজর কাড়বে গ্রিলের ক্ল্যাডিং, এলইডি টেলল্যাম্প এবং অ্যালুমিনিয়াম স্কিড প্লেট। বুট স্পেসের ক্যাপাসিটি ৩১৫ লিটারের আশাপাশে থাকবে।
Citroen C3 কালার অপশন
সিঙ্গেল টোন এবং ডুয়াল টোন কালারের সাথে ১০ রকমের কাস্টমাইজেশন অপশন মিলবে এতে। সিট্রোয়েন সি৩ চারটি কালার স্কিমে পাওয়া যাবে- পোলার হোয়াইট, প্ল্যাটিনাম গ্রে, স্টিল গ্রে, জেস্টি অরেঞ্জ৷ এছাড়াও টু-টোন কালারের ক্ষেত্রে দু'টি রুফ কালার অপশন প্লাটিনাম গ্রে বা জেস্টি অরেঞ্জ থাকছে
Citroen C3 কেবিন
ভিতরে ড্যাশবোর্ডের ভাইব্রান্ট প্যানেল গাড়িটির বাইরের কালার শেডের সাথে সুন্দর ভাবে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ অন্যদিকে এর চকচকে কালো বেজেল সহ এয়ার-কনভেন্টগুলি সি৫ এয়ারক্রসের থেকে অনুপ্রাণিত। এতে রয়েছে ফ্ল্যাট-বটম মাল্টি-ফাংশনাল স্টিয়ারিং হুইল, অটো ক্লাইমেট কন্ট্রোলার, ইউএসবি চার্জিং পোর্ট, ম্যানুয়াল এয়ার কন্ডিশনার, একটি ১০-ইঞ্চি ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন এবং ইনফোটেইনমেন্ট ডিসপ্লে-সহ অ্যাপল কারপ্লে এবং অ্যান্ড্রয়েড অটোর মত স্মার্ট ফিচার।
Citroen C3 ইঞ্জিন ও গিয়ারবক্স
সিট্রোয়েন সি৩ দু'টি পেট্রোল ইঞ্জিন অপশনের সাথে লঞ্চের সম্ভাবনা রয়েছে - ১.২ লিটার টার্বোচার্জড পেট্রোল এবং ১.২ লিটার ন্যাচারালি অ্যাসপিরেটেড পেট্রোল ইঞ্জিন। টার্বোচার্জড ইঞ্জিন থেকে ১০৮/১২৮ বিএইচপি ক্ষমতা পাওয়া যাবে। আর যেখানে ন্যাচারালি অ্যাসপিরেটেড ইঞ্জিনের ক্ষমতা হবে ৮৫ বিএইচপি। গাড়িটি পাঁচ গতির ম্যানুয়াল এবং সাত গতির ডুয়াল-ক্ল্যাচ অটোমেটিক গিয়ারবক্স বিকল্পে উপলব্ধ হবে।
Citroen C3 দাম ও প্রতিদ্বন্দ্বী
মেড-ইন-ইন্ডিয়া মডেল হিসাবে আশায় সিট্রোয়েন সি৩ প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে লঞ্চ করা সম্ভব হবে। এর দাম ৫.৫ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকার (এক্স-শোরুম) মধ্যে থাকবে। দেশের বাজারে সিট্রোয়েনের এই গাড়ির সঙ্গে Tata Punch, Maruti Suzuki Ignis, Renault Kiger এবং Nissan Magnite-এর লড়াই চলবে।