সাইকেল সারাতেন, এখান ওখান থেকে যন্ত্রাংশ এনে বানিয়ে ফেললেন ইলেকট্রিক বাইক

পরিবেশবান্ধব হওয়ার জন্য বৈদ্যুতিন গাড়ি যে একদিন জীবাশ্ম জ্বালানি দ্বারা পরিচালিত গাড়ির প্রধান বিকল্প হয়ে উঠবে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। বৈদ্যুতিন গাড়ির গ্রহণযোগ্যতা…

পরিবেশবান্ধব হওয়ার জন্য বৈদ্যুতিন গাড়ি যে একদিন জীবাশ্ম জ্বালানি দ্বারা পরিচালিত গাড়ির প্রধান বিকল্প হয়ে উঠবে, তা নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। বৈদ্যুতিন গাড়ির গ্রহণযোগ্যতা এবং উপযোগিতা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে বিশ্বের বহু দেশেই এই গাড়ির প্রযুক্তি বিষয়ক গবেষণা চলছে। ভারতও এর ব্যতীক্রম নয়। গবেষণার সঙ্গে যুক্ত এদেশের বহু তাবড় তাবড় সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠান।

তবে আজ আপনাদের কেরালানিবাসী এমন একজনের কথা শোনাবো যিনি বড়ো কোনো সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার নন বা গবেষকও নন। পেশায় তিনি একজন সাইকেল মেকানিক। আর তার কৃতিত্ব? সীমিত জ্ঞান নিয়েই তিনি বানিয়ে ফেলেছেন আস্ত একটি ইলেকট্রিক টু-হুইলার। Onmonorama ওয়েবসাইটে কোডাঙ্গালুরের এডাভিলানগুর বাসিন্দা মেকানিক নিশারের এই তাক লাগানো কাহিনী সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাইকেল রিপেয়ারিং এবং টায়ার পাংচারের কাজ করে অবসর সময়ে নিশার চাকা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেন। আজ তার অগ্রগতি এমনই যে সেই পরীক্ষার ফলাফল একটি বৈদ্যুতিন বাইক। নিশার বিভিন্ন জায়গা থেকে যন্ত্রাংশ এনে সেগুলি একত্রিত করে বাইকটি বানিয়েছেন। এর ইঞ্জিন মূলত লিফট নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত দিল্লী থেকে আনা একটি মোটর থেকে ডেভলপ করা।

নিশার তার ১৭৫ কেজি ওজনের এই বৈদ্যুতিন বাইকের নাম রেখেছেন “Mass”। এটি বানানোর জন্য অবশ্য নিশারের পকেট থেকে খরচ হয়েছে ১ লক্ষ টাকা। পরীক্ষামূলকভাবে বানানো এই বাইক একবার সম্পূর্ণ চার্জ দিলে ২৫ কিমি অব্দি চলবে আবার উন্নত মানের ব্যাটারি ব্যবহারে এটি ৬০ কিমি পর্যন্ত চালানো যাবে বলে দাবী করা। নিশার জানিয়েছেন, মোটর ভেহিকেল ডিপার্টমেন্ট থেকে অনুমোদন পাওয়ার পরই তিনি এটি কোডাঙ্গালুরের রাস্তায় বার করবেন।

অধ্যবসায়, জেদ এবং পরিশ্রমকে সম্বল করে নিশার তার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করেছে। আমরা আশা করবো, নিশার তার এই প্রোজেক্টকে শুধুমাত্র শখ নয়, ব্যবসায়িক লক্ষ্য ধরে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবে।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন