Car Headlight: গাড়ির হেডলাইট কত প্রকার, কার আলোর জোর বেশি, জেনে নিন

দিন হোক বা রাত, নিরাপদে ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালাতে হলে যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আপনাকে মেনে চলতে হবে তা হল হেডল্যাম্পের সঠিক ব্যবহার। বলাই…

দিন হোক বা রাত, নিরাপদে ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালাতে হলে যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আপনাকে মেনে চলতে হবে তা হল হেডল্যাম্পের সঠিক ব্যবহার। বলাই বাহুল্য, বিশেষত রাত্রিবেলা হেডলাইট ছাড়া গাড়ি চালানো অত্যন্ত বিপদজনক এবং কঠিন। সামনের রাস্তা পরিষ্কারভাবে লক্ষ্য করে চালককে গাড়ি চালাতে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে হেডল্যাম্প। এখনকার দিনে প্রযুক্তি এতটাই উন্নত হয়েছে যে বিভিন্ন ধরনের হেডল্যাম্পে সুসজ্জিত গাড়ি আপনার সামনে উপস্থাপন করা হয়। এই মুহূর্তে বাজারে মেলে বেশ কয়েক ধরনের হেডলাইট। চলুন, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেগুলি কত প্রকার ও কী কী।

হ্যালোজেন হেডলাইট:

বহুদিন ধরে চলে আসা গাড়িতে ব্যবহৃত সবচেয়ে সাধারণ ও পুরনো হেডল্যাম্প হল হ্যালোজেন। কম খরচে এই ধরনের হেডল্যাম্প স্থাপন, ব্যবহার, ও প্রতিস্থাপন করা খুবই সোজা। কোনওরকম জটিল প্রযুক্তি লাগে না। এর মধ্যে থাকা টাংস্টেন ফিলামেন্ট এর মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ পরিবাহিত হওয়ার জন্য ফিলামেন্টটি উত্তপ্ত হয় এবং তা জ্বলে উঠতে সাহায্য করে। হ্যালোজেন হেডল্যাম্পের আলো হলুদ রঙের হয় এবং উৎপন্ন তাপের মাধ্যমে শক্তি অপচয় হওয়ার প্রবণতা বেশি।

এইচআইডি বা জেনন:

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জেনন হেডল্যাম্প,যা চলতি ভাষায় এইচআইডি নামে পরিচিত। এতে ফিলামেন্ট থাকার পরিবর্তে জেনন গ্যাস দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে যা সিএফএল নামে প্রচলিত। জেনন ল্যাম্পের মধ্যে থাকা তড়িৎদ্বারের মধ্যে দিয়ে যখন উচ্চ ভোল্টেজ প্রবাহিত হয় তখন গ্যাসটি প্রজ্জ্বলিত হতে শুরু করে। নিঃসন্দেহে, এইচআইডি হ্যালোজেন ল্যাম্পের থেকে বেশি ক্ষমতাশালী কিন্তু এটি উত্তপ্ত হয়ে সর্বোচ্চ উজ্জ্বলতায় পৌঁছাতে বেশ খানিকক্ষণ সময় নেয়। এই কারণে জন্য একে হ্যালোজেন বা এলইডি এর সাথে ব্যবহার করা হলেও প্রাথমিক হাই বিমের জন্য একেবারেই অনুপযুক্ত। এইচআইডি থেকে নির্গত আলো সাধারণত নীলাভ সাদা রংয়ের হয়।

এলইডি:

এরপরে আসা যাক সবচেয়ে জনপ্রিয় এলইডি হেডলাইটের প্রসঙ্গে, যা ধীরে ধীরে সমস্ত গাড়িতে জায়গা করে নিচ্ছে। এলইডি অর্থাৎ লাইট এমিটিং ডায়োড কম বিদ্যুৎ খরচের জন্য পরিচিত। এর মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়ার ডায়োড প্রজ্জ্বলিত হয়। এনার্জি এফিশিয়েন্ট হওয়ার ফলে এগুলোকে বিভিন্ন আকারের রূপ দেওয়া হয়। এই কারণ হেতু এলইডি দিনের বেলাতেও ব্যবহৃত হয়।

ম্যাট্রিক্স এলইডি:

সাধারণ এলইডি লাইটের উন্নত ভার্সন হল ম্যাট্রিক্স এলইডি। এই ধরনের লাইট এলইডি সহযোগে তৈরি হলেও এক বিশেষ ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করে থাকে, যা প্রতি মুহূর্তে সামনে থাকা অন্যান্য গাড়িগুলিকে পর্যবেক্ষণ করে এবং সামনে আচমকা কোনো গাড়ি চলে এলে সেই অংশে ব্লক করে দেয়। এর ফলে উল্টো দিক থেকে আসা গাড়ি চালক সঠিকভাবে রাস্তা অনুসরণ করে চলতে পারে। দুর্ঘটনা এড়ানো সহজ হয়।

লেজার লাইট:

অত্যন্ত মূল্যবান এই লেজার লাইট সাধারণত প্রিমিয়াম গাড়িতে দেখতে পাওয়া যায়। বেশি দাম হওয়ার কারণে অনেক সময় অপশনাল হিসেবে এই লাইট নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। কখনও বা ফ্যাক্টরি থেকেই গাড়িতে লাগানো অবস্থায় বাজারে আসে এগুলি। এর ভেতরে থাকা গ্যাসকে জ্বালানোর জন্য এক প্রকার লেজার রশ্মি ব্যবহার করে। লেজার লাইট অনেক দূর পর্যন্ত আলো বিস্তৃত করতে পারে। এমনকি ৬০০ মিটার পর্যন্ত এর আলো ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রয়েছে এর।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন