E-Scooter Fire: শীতেও রেহাই নেই, হাড়হিম করা ঠান্ডায় আগুন ধরে গেল ইলেকট্রিক স্কুটারে
পরিবেশ দূষণের হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জীবাশ্ম জ্বালানির যানবাহন...পরিবেশ দূষণের হাত থেকে নিস্তার পাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা জীবাশ্ম জ্বালানির যানবাহন পরিত্যাগের উপায় বাতলেছিলেন। বাস্তবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে যা কখনই সম্ভব নয়। কিন্তু তবে দূষণ প্রতিরোধের উপায় কী? এক্ষেত্রে বিকল্প পথ হিসেবে বলা হয়েছে অপ্রচলিত শক্তির উপর নির্ভর করে চলে এমন গাড়ির আরও বেশি পরিমাণে ব্যবহার। যার মধ্যে অন্যতম হল ইলেকট্রিক গাড়ি। তবে ভারতে ব্যাটারি চালিত মডেলের মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় হচ্ছে ইলেকট্রিক টু-হুইলার। কিন্তু এর আরও বিক্রি বৃদ্ধির পথে কাঁটা হয়ে মূর্তিমান হয়েছে দাঁড়িয়েছে উপর্যুপরি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। এতদিন যার জন্য গ্রীষ্মের দাবদাহের দোহাই দেওয়া হলেও তা যে আদৌ কতটা গ্রহণযোগ্য, সম্প্রতি দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির সামালখা-র ঘটনা সামনে আসার পর এখন সেই যুক্তি বড় প্রশ্ন চিহ্নের সম্মুখীন হয়েছে।
দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির সামালখার কনকনে ঠান্ডাতেও ইলেকট্রিক স্কুটারে ধরে গেল আগুন। বাঁচোয়া এটাই যে কারোর কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কপালজোরে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন স্কুটারের চালক। একটি সর্বভারতীয় ম্যাগাজিনের আধিকারিক টুইটারে একটি ভিডিয়ো ক্লিপ শেয়ার করে সমগ্র ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। যেখানে দেখা যায়, চালক সচেষ্টায় তাঁর স্কুটারের আগুন নেভাচ্ছেন। এবং তাতে তিনি সফলও হয়েছেন।
২০২২ শুরুর পর থেকে বৈদ্যুতিক স্কুটারে পরপর অগ্নিকাণ্ডের খবরে স্বভাবতই ক্রেতারা সন্দিহান হয়ে পড়েছিলেন। যারা এমন মডেল বর্তমানে ব্যবহার করছেন, বিশেষত তাঁদের একটি বড় অংশের মধ্যে এই নিয়ে নানান আশঙ্কার মেঘ ঘনীভূত হয়েছিল। যা দেখে নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সমগ্র ঘটনার সত্য উদঘাটনের নির্দেশ দেওয়া হয়। যা থেকে জানা যায়, কেবল তীব্র দাবদাহ নয়, চীন থেকে আমদানিকৃত ব্যাটারিতে অনুন্নত উপাদান ব্যবহার এর জন্য দায়ী। যা ভারতের চরমভাবাপন্ন আবহাওয়ায় মোটেই উপযুক্ত নয়।
এবারের ঘটনাতেও তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রক। সেন্টার ফর ফায়ার এক্সক্লুসিভ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট সেফটি বা CFEES-কে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে। এবং সংশ্লিষ্ট নির্মাণকারী সংস্থাকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এর আগে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গডকড়ী লোকসভা তে একটি নির্দেশিকা জারি করে সংশ্লিষ্ট ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত বৈদ্যুতিক গাড়ির নির্মাতাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। সঠিক কারণ দেখাতে না পারলে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল তাতে।