ভাঁজ করে ঘোরা যাবে সর্বত্র, ইলেকট্রিক কিক স্কুটার ও মাউন্টেন বাইক লঞ্চ করল Emotorad

প্রিমিয়াম ইলেকট্রিক সাইকেল নির্মাতা ইমোটোরাড (EMotorad) ভারতের বাজারে দু'টি নতুন বৈদ্যুতিক পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছে৷...
SUMAN 9 April 2022 1:15 PM IST

প্রিমিয়াম ইলেকট্রিক সাইকেল নির্মাতা ইমোটোরাড (EMotorad) ভারতের বাজারে দু'টি নতুন বৈদ্যুতিক পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছে৷ সংস্থার তরফে রাস্তায় চড়াই উতরাই সহজেই পার করার জন্য T-Rex+ নামক একটি ব্যাটারিচালিত মাউন্টেন বাইক এবং Lil E বলে একটি ছোট চাকার স্বল্প গতির হালকা ইলেকট্রিক কিক স্কুটারলঞ্চের ঘোষণা করা হয়েছে, যা কাছেপিঠে যাওয়ার আদর্শ। উল্লেখ্য, এগুলি ছাড়াও ইমোটোরাডের প্রোডাক্ট পোর্টফোলিওতে T-Rex, EMX এবং Doodle মডেলের ইলেকট্রিক সাইকেল বর্তমান।

লেটেস্ট টেকনোলজির সাহায্যে Lil E তৈরি করা হয়েছে। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টা প্রতি ২৫ কিমি। এটি একচার্জে ১৫-২০ কিমি চলতে পারবে। ফলে বোঝাই যাচ্ছে দূরে যাত্রার ক্ষেত্রে এটি উপযুক্ত নয়। সাধারণত অফিস ও শপিংমলের ভেতরে চলাচলের জন্য এই জাতীয় স্কুটার ব্যবহার হয়ে থাকে। আবার কমবয়সীদের ক্ষেত্রেও এই ধরনের ইলেকট্রিক কিক স্কুটার আদর্শ। এটি সমতল ভূমির পাশাপাশি ঢালু রাস্তায় চলতেও সক্ষম বলে দাবি সংস্থার। আবার কোথাও গেলে স্কুটারটির ভাঁজ করে সাথে নিয়ে যাওয়া যাবে। Lil E-র দাম রাখা হয়েছে ২৯,৯৯৯ টাকা।

T-Rex+ একটি ব্যাটারিচালিত মাউন্টেন বাইসাইকেল। পাহাড়ি, সমতল অথবা এবড়োখেবড়ো পথ, সব ধরনের যে রাস্তায় চলার জন্য এটি পটু। ই-সাইকেলটির মূল্য ৪৯,৯৯৯ টাকা। ব্যাটারিতে ফুল চার্জ থাকলে ৬০ কিমি পর্যন্ত দৌড়তে পারবে বলে সংস্থা জানিয়েছে। টপ স্পিড ২৫ কিমি/ঘন্টা। T-Rex মডেলে একাধিক আপগ্রেডের মাধ্যমে T-Rex+ হাজির করেছে তারা। এই প্রসঙ্গে EMotorad-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং স্বীয় কুনাল গুপ্তা মন্তব্য করেন, “আমরা ভারতের বাজারে ভিত শক্ত করতে পেরেঠি। পাশাপাশি বিদেশের বাজারেও আমাদের ব্যবসা সম্প্রসারিত হচ্ছে। গ্রাহকদের পছন্দ মতো উন্নত পণ্য বাজারে নিয়ে আসছি আমরা।”

Emotorad launches lile electric scooter t-rex

EMotorad-এর প্রতিষ্ঠাতা রাজিব গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ইভি ক্ষেত্রে ক্রমশ প্রসার ঘটছে, আমরা বিশ্বের অন্যান্য মার্কেটে ব্যবসা বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছি। নতুন প্রোডাক্টের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই লঞ্চ ভারতের বাজারের পাশাপাশি নতুন বাজারেও আমাদের সম্প্রসারণ এবং উন্নয়নে একটি প্ল্যাটফর্মের কাজ করবে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে আমাদের লক্ষ্য জাপানের মতো উন্নত বাজার থেকে শিক্ষা নিয়ে পশ্চিমের দেশগুলিতে সম্পাদন করা।”

Show Full Article
Next Story