EMotorad দেশের সবচেয়ে দামী ই-বাইক লঞ্চ করল, দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে!
ইদানিং অসংখ্য রাইডারের প্রিমিয়াম ইলেকট্রিক বাইকের প্রতি মন মজেছে। এগুলি যেমন স্টাইলিশ আবার দীর্ঘ পথ যাত্রার ক্ষেত্রেও...ইদানিং অসংখ্য রাইডারের প্রিমিয়াম ইলেকট্রিক বাইকের প্রতি মন মজেছে। এগুলি যেমন স্টাইলিশ আবার দীর্ঘ পথ যাত্রার ক্ষেত্রেও সমানভাবে কার্যকরী। পাশাপাশি কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে যারা নিজের যৌবন ধরে রাখতে চান, তাদের জন্যও এগুলি আদর্শ। এবার তেমনই একগুচ্ছ ই-বাইক লঞ্চ করে আলোড়ন সৃষ্টি করল মহারাষ্ট্রের পুণের সংস্থা ইমোটোরাড (EMotorad)। যার মধ্যে রয়েছে – Nighthawk, Desert Eagle, Xplorer+ এবং X-Factor।
X-Factor রেঞ্জের দাম ২৪,৯৯৯ টাকা থেকে শুরু, যেখানে প্রিমিয়াম রেঞ্জের মূল্য ৪.৭৫ লক্ষ টাকা থেকে ৫ লক্ষ টাকা। যা ভারতের সবচেয়ে দামী ই-বাইক। ইমোটোরাডের সর্বাধিক দামি মডেলটি হল Elite। যাতে রয়েছে বিশ্বমানের প্রযুক্তি এবং ফ্রেম। এদিকে Nighthawk-এর ফিচারের মধ্যে রয়েছে একটি দৃঢ় অ্যালুমিনিয়াম ফ্রেম, ১৫০ মিমি ট্রাভেল ফর্ক এবং ৩৫ মিমি স্ট্যানচিয়ন্স, টেকট্রো ২ পিস্টন ফ্রন্ট, ম্যাক্সিস মিনিয়ন ডিএইচএফ এক্সো প্রোটেকশন টিউবলেস টায়ার এবং রিয়ার ব্রেক সহ আরও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য।
Desert Eagle-এ দেওয়া হয়েছে একটি ১২০ মিমি ট্রাভেল ফর্ক এবং প্রোভেন মোশান কন্ট্রোল ড্যাম্পার। এছাড়া রয়েছে ধীরগতিতে কম্প্রেশন অ্যাডজাস্টমেন্ট, SRAM শিফ্টিং, এবং কেন্ডা জুগারনট টায়ার। অন্যদিকে X-Factor রেঞ্জের ফিচারের তালিকায় রয়েছে ডিটাচেবল ব্যাটারি, এলসিডি, স্টিল ফ্রেম, সিঙ্গেল স্পিড ড্রাইভট্রেন, ফটো কাট অফ প্রযুক্তি সহ মেকানিক্যাল ডিস্ক ব্রেক। X1-এ উপস্থিত ১২ ম্যাগনেট সহ লেভেল ওয়ান পেডাল অ্যাসিস্ট। যেখানে X2 ও X3-তে আছে থ্রি-লেভেল পেডাল অ্যাসিস্ট।
এছাড়া লঞ্চ হওয়া ই-বাইকগুলিতে ইন্টারনেট পরিষেবা উপলব্ধ রয়েছে। আবার কসরত করার ফলে কতটা ক্যালোরি খরচ হল এতে সেটিও পরিমাপ করা যাবে। এছাড়া রয়েছে হার্ট রেট ট্র্যাকিং, কত কিলোমিটার যাত্রা হয়েছে তার হিসাব রাখার ব্যবস্থা, জিপিএস, জিও ট্র্যাকিং এবং প্ল্যান রাইড। খুব শীঘ্রই এগুলি ইমোটোরাডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট, অনলাইন মার্কেট এবং অফলাইন ডিলারশিপ থেকে কেনা যাবে।