বর্তমানে ভারতের প্রথম সারির ইলেকট্রিক বাইক নির্মাতা ইমোটোরাড (EMotorad), তাদের ব্যবসায় উন্নতির কথা ঘোষণা করল। সংস্থাটি জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত তারা ৫০,০০০-এর বেশি ই-বাইক বিক্রি করেছে। যা থেকে তাদের আয়ের পরিমাণ ১৪০ কোটি টাকা। আর ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের মধ্যে মুনাফার পরিমাণ ১৬৫ কোটিতে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে ইমোটোরাড।
EMotorad নিজেদের আয় ৪০০% বাড়াবে
আগের বছর এই সময়ের তুলনায় আয়ের শতকরা হার বেড়ে হয়েছে ১০০%। যার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব নতুন লঞ্চ হওয়া ই-বাইক সিরিজ X-Factor-কে দিয়েছে সংস্থা। একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ইমোটোরাড জানিয়েছে, আসন্ন অর্থবর্ষে ই-বাইক বিক্রি করে সংস্থা নিজেদের আয় ৪০০ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিবেশবান্ধব যানবাহনের চাহিদা বেড়ে চলার মুহূর্তে দেশের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণীর শহরগুলিতে লক্ষ্য তাদের।
EMotorad-এর ঝুলিতে রয়েছে এই ই-বাইক
বর্তমানে ইমোটোরাড-এর ঝুলিতে রয়েছে ইলেকট্রিক বাইকের অনেক সম্ভার। যার মধ্যে আছে – মাউন্টেন, রোড এবং কমিউটার বাইক। সম্প্রতি সংস্থাটি তাদের এক্স-ফ্যাক্টর সিরিজের উপর থেকে পর্দা সরিয়েছে। যেগুলি আরামদায়ক, পরিবেশবান্ধব এবং বেশ মজাদার মডেল। এর দাম ২৪,৯৯৯ টাকা থেকে শুরু।
এদের X1 হল একটি MTB ই-বাইক, যাতে উপস্থিত একটি শক্তিশালী মোটর এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যাটারি। যেখানে X2 হল নারী-পুরুষ উভয়ের ব্যবহারের জন্য একটি প্রিমিয়াম MTB ই-বাইক। অন্যদিকে X3 একটি হাইব্রিড গ্র্যাভেল বাইক। এতে দেওয়া হয়েছে ফ্রেমের সাথে সংযুক্ত একটি ব্যাটারি। আবার এতে ব্যবহৃত হার্টেক্স ৩মিমি টায়ার পাংচার হবে না। মাত্র দুই মাসে এক্স ফ্যাক্টরি সিরিজের বাইক সমগ্র দেশে ৩০০০ বুকিং পেয়েছে।
আয় বৃদ্ধির প্রসঙ্গে EMotorad-এর বক্তব্য
সমগ্র দেশে নিজেদের উপস্থিতি এবং পরিষেবা বাড়াতে নিজেদের সম্প্রসারণে বিনিয়োগ করছে ইমোটোরাড। বিভিন্ন অনলাইন এবং অফলাইন ডিলারের সাথে হাত মেলাচ্ছে তারা। প্রসঙ্গে সংস্থার সিইও কুনাল গুপ্তা বলেন, “আমরা আমাদের ব্যবসাতে এই সমৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করে রোমাঞ্চিত। কঠোর পরিশ্রম এবং উৎসর্গ ফলে আমাদের ইলেকট্রিক বাইসাইকেল এবং ই-বাইক কনভার্শন কিটের চাহিদা বাড়ছে, যা আমাদের সাফল্যের প্রমাণ দেয়।”