EV Battery Swapping Draft Policy: ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে ব্যাটারি বদল নীতির খসড়া প্রস্তাব আনল নীতি আয়োগ 

ব্যাটারি চালিত গাড়ির দ্রুত প্রসার ঘটাতে দেশে বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশনের সংখ্যা বাড়ানোর সাথে পরিষেবা দানের প্রক্রিয়াটি চটজলদি হওয়ারও অতি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে এক ও অদ্বিতীয় উপায়…

ব্যাটারি চালিত গাড়ির দ্রুত প্রসার ঘটাতে দেশে বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশনের সংখ্যা বাড়ানোর সাথে পরিষেবা দানের প্রক্রিয়াটি চটজলদি হওয়ারও অতি প্রয়োজন। এক্ষেত্রে এক ও অদ্বিতীয় উপায় হল ‘ব্যাটারি সোয়াপিং’। ২০২২-২৩ বাজেট পরিবেশনের সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ‘ব্যাটারি সোয়াপিং পলিসি’র ঘোষণা করেছিলেন। যাতে এই ধরনের সোয়াপিং স্টেশনে চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া ব্যাটারির সাথে চার্জে পরিপূর্ণ ব্যাটারি বদলে নেওয়া যায়। সমগ্র দেশে এই নীতি নিয়ে আসার জন্য নীতি আয়োগ (NITI Aayog)-কে গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এবারে আয়োগ এই সংক্রান্ত একটি খসড়া নীতি নিয়ে এলো।

প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের ৪০ লক্ষের অধিক জনসংখ্যার সমস্ত মেট্রো শহরগুলিতে ব্যাটারি সোয়াপিং নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে সমস্ত রাজ্যের ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের রাজধানী এবং যেসব শহরের জনসংখ্যা ৫ লক্ষের অধিক সেখানে এর নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছে আয়োগ। আবার যে সব শহরে বৈদ্যুতিক দুই এবং তিন চাকার গাড়ির সংখ্যার উত্থান তুলনামূলক বেশি, সেগুলিকে বিশেষ নজরে দেখা হবে। খসড়া নীতিতে উল্লেখ রয়েছে, যে সমস্ত বৈদ্যুতিক যানবাহন ব্যাটারি সোয়াপিং সমর্থন করবে, সেগুলি ব্যাটারি ছাড়া বিক্রি করা হবে, যাতে কম দামে ইলেকট্রিক ভেহিকেল গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়া যায়।

উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, যে কোনো ব্যক্তি অথবা সংস্থা চাইলেই নির্দিষ্ট প্রযুক্তি, সুরক্ষা এবং কার্যকারিতার বিধি মেনে তাদের নিজস্ব স্থানে ব্যাটারি সোয়াপিং স্টেশন বসাতে পারবেন। চূড়ান্তভাবে দেশে এই ব্যাটারি সোয়াপিং পলিসি চালুর আগে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের ব্যক্তিদের মতামত জানবে কেন্দ্র। জুনের ৫ তারিখ পর্যন্ত মতামত গ্রহণের প্রক্রিয়া চালু রাখবে আয়োগ। জানা গেছে এই খসড়া নীতিটি নিয়ে আসার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সংস্থার সাথে আলাপ-আলোচনা করা হয়েছে। যার মধ্যে ছিল ব্যাটারি সোয়াপিং অপারেটর, ব্যাটারি নির্মাতা, গাড়ি প্রস্তুতকারী কোম্পানি, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান সমেত আরও অন্যান্য সংস্থা।

নীতি আয়োগের এই পদক্ষেপের ফলে চলতি আর্থিকবর্ষের বাজেটের ঘোষণাকালে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের বক্তব্য কার্যত বাস্তব রূপ পেতে চলেছে বলা যায়। এর ফলে বৈদ্যুতিক যানবাহনের গ্রহণযোগ্যতা গ্রাহকদের কাছে অধিক সহজ হবে বলে আশাবাদী কেন্দ্র। প্রাথমিক পর্যায়ে দেশের শহরাঞ্চলকে গুরুত্ব দেওয়া হলেও, পরবর্তীতে গ্রামাঞ্চলগুলিতেও এই সোয়াপিং স্টেশন তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন