প্রিমিয়াম ইলেকট্রিক স্কুটারের শোরুম খুলল EVeium
ভারতীয়রা ক্রমশই বৈদ্যুতিক গাড়িমুখী হয়ে উঠছেন। চাহিদার বাড়বাড়ন্ত দেখে কচিকাঁচা থেকে প্রাপ্তবয়স্ক একাধিক দেশি-বিদেশি...ভারতীয়রা ক্রমশই বৈদ্যুতিক গাড়িমুখী হয়ে উঠছেন। চাহিদার বাড়বাড়ন্ত দেখে কচিকাঁচা থেকে প্রাপ্তবয়স্ক একাধিক দেশি-বিদেশি সংস্থার আবির্ভাব ঘটেছে দেশীয় বাজারে। তেমনই সুদূর দুবাই থেকে মেটাফোর (META4) গোষ্ঠীর শাখা এলিসিয়াম অটোমোটিভস (Ellysium Automotives) ভারতে ইলেকট্রিক স্কুটারের ব্যবসার লক্ষ্যে সম্প্রতি ইভিয়াম (EVeium) ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠা করেছে। এবারে সংস্থাটি এদেশে তাদের নতুন এক্সপেরিয়েন্স হাব লঞ্চের কথা ঘোষণা করল। এটি কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে খোলা হয়েছে। তাদের এই নতুন শোরুম থেকে সমস্ত পণ্য এবং প্রযুক্তি গ্রাহকদের সামনে মেলে ধরা হবে।
মোটো এস (Moto Ace) নামে ডিপিএস বিজনেস অ্যাসোসিয়েটস শোরুমটির মালিকানা গ্রহণ করেছে। বেঙ্গালুরুতে এমন আরও দুটি ডিলারশিপ খোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। মোটো এস গোষ্ঠী এবং ইভিয়াম হাতেহাত মিলিয়ে এদেশে বৈদ্যুতিক স্কুটারের ব্যবসায় এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে ব্রতী হয়েছে। ইভিএম ব্যাটারিচালিত যানবাহনের প্রযুক্তিকে আরও উন্নত মানের করে তোলার দিকে নজর দেবে। যাতে বৈদ্যুতিক যানবাহন নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা অবসান ঘটানো যায়।
ইভিয়ামের নতুন শোরুমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে সংস্থার সহ প্রতিষ্ঠাতা এবং অংশীদার সমীর মইদিন বলেন, “বেঙ্গালুরুর মতো বৈদ্যুতিক যানবাহনের অন্যতম শহরের ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই শহর ইলেকট্রিক ভেহিকেল উদ্ভাবনের তালুক হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেছে। এখান থেকে যাত্রা শুরু করতে না পারলে, আমরা উচ্ছ্বসিত হতে পারতাম না। এখন লক্ষ্য এই শহর এবং সর্বোপরি সমগ্র রাজ্যে আমাদের উপস্থিতি বাড়ানো।
প্রসঙ্গত, গত মাসে সংস্থাটি তাদের তিন তিনটি বৈদ্যুতিক স্কুটি ভারতের বাজারে লঞ্চ করেছে। এগুলি হল – EVeium Cosmo, Comet ও Czar। আগ্রহীরা তাদের শোরুমে গিয়ে ৯৯৯ টাকার টোকেন মূল্যে মডেলগুলি বুক করতে পারবেন। Cosmo মডেলের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬৫ কিলোমিটার। ৭২ ভোল্ট এবং ৩০ অ্যাম্পিয়ার আওয়ার ব্যাটারি প্যাক রয়েছে। যা চার্জে পরিপুষ্ট অবস্থায় একটানা ৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পারবে। এর দাম ১,৩৯,২০০ লাখ টাকা (এক্স শোরুম)।
আবার, Eveium Comet ৩ কিলোওয়াট মোটরের সাহায্যে প্রতি ঘন্টায় ৮৫ কিমি/গতিতে ছুটতে সক্ষম। এর ৭২ ভোল্ট ও ৫০ অ্যাম্পিয়ার আওয়ার ব্যাটারি থেকে ১৫০ কিমি রেঞ্জ দেবে। স্কুটারটির দাম ১,৮৪,৯০০ লাখ টাকা (এক্স-শোরুম) ধার্য করা হয়েছে। অন্যদিকে, সংস্থার সবচেয়ে দামি ও ফ্লাগশিপ ই-স্কুটার হল Czar। এতে রয়েছে শক্তিশালী ৪ কিলোওয়াট ক্ষমতার সম্পন্ন মোটর। স্কুটারটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৮৫ কিমি। এতে ৭২ ভোল্ট ও ৪২ অ্যাম্পিয়ার আওয়ার ব্যাটারি প্যাক বর্তমান। যা চার্জে পরিপূর্ণ অবস্থায় একটানা ১৫০ কিমি চলতে পারবে। Eveium Czar-এর মূল্য ২,০৭,৭০০ লাখ টাকা (এক্স-শোরুম)।