স্প্লেন্ডার-প্ল্যাটিনা সহ সস্তা হতে পারে প্রচুর বাইক, মোদি সরকারকে GST কমানোর আর্জি
কোভিড -১৯ এর প্রভাব অর্থনীতির চাকাকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। সমগ্র বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও এই দৃশ্য সকলকে চোখে আঙুল দিয়ে...কোভিড -১৯ এর প্রভাব অর্থনীতির চাকাকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। সমগ্র বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও এই দৃশ্য সকলকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। যে কোনো দেশের মতো ভারতের অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতেও অটোমোবাইল শিল্পের গুরুত্ব অপরিসীম। যার মধ্যে সর্বাধিক অবদান রাখে কমিউটার সেগমেন্টের সস্তা টু-হুইলার মডেলগুলি। কিন্তু কোভিডের পর থেকে কমদামী বাইকের বিক্রিতেও প্রভাব পড়েছে। তাই ডিলারদের সংগঠন ফেডারেশন অফ অটোমোবাইল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন বা ফাডা (FADA), এন্ট্রি-লেভেল টু-হুইলারের ওপর থেকে বর্তমানে আরোপিত ২৮% জিএসটি (GST) কমিয়ে ১৮% করার আর্জি জানালো। এর আগেও সংগঠনটি এই একই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছিল।
কম দামি দু’চাকার গাড়িতে জিএসটি হার কমানোর দাবি ফাডা-র
ফাডা-র চেয়ারম্যান মণীশ রাজ সিঙ্ঘানিয়ার জানান, চলতি আর্থিক বর্ষে বাইক ও স্কুটারের বিক্রিতে ৭% অগ্রগতি ঘটেছে। কিন্তু কমদামী মডেলের চাহিদা এখনও তলানিতে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ফাডা-র সভাপতির মতে, কোভিডের পর থেকে এই জাতীয় দু'চাকার বিক্রিতে ২০ শতাংশ পতনের সাক্ষী থাকছে দেশ। তাই বিক্রি বাড়াতে সরকারি পদক্ষেপ জরুরী বলে সুর তোলন তিনি।
কম দামি টু-হুইলারের বিক্রি বাড়াতে জিএসটি ছাঁটাই কতটা প্রয়োজন, তা কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর উপস্থিতিতে ব্যক্ত করেন ফাডার চেয়ারম্যান। মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে সিঙ্ঘানিয়া বলেন, “বিক্রি বাড়ানোর ক্ষেত্রে এন্ট্রি লেভেল মডেল অর্থাৎ ১০০ থেকে ১২৫ সিসি টু-হুইলারগুলির গুরুত্ব অপরিসীম। তাই ফাডা এর উপর থেকে জিএসটি-র পরিমাণ ২৮% থেকে কমিয়ে ১৮% করার আর্জি জানায়।”
সিঙ্ঘানিয়ার কথায়, এটি কেবলমাত্র কোন নীতি সমন্বয় নয়, জিএসটির নয়া হার কার্যকর হলে দেশের অর্থনীতিতে জোয়ার আসবে। বর্তমানে অটোমোবাইল সেলসের ৭৫ শতাংশ জুড়ে রয়েছে এই সেগমেন্ট। ফাডা-র তথ্যানুযায়ী, এ বছর এপ্রিল থেকে আগস্টে মোট ৬৫,১৫,৯১৪ ইউনিট কমিউটার টু-হুইলার বিক্রি হয়েছে। তুলনাস্বরূপ গত বছর ওই সময়ে বেচাকেনার পরিমাণ ৬২,৩৫,৬৪২ থাকায় বিক্রিতে ৪.৪৯% অগ্রগতি ঘটেছে।