সস্তা হবে বাইক-স্কুটারের দাম, দু'চাকায় GST নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে মোদি সরকার
এ কথা অনেকেই জানেন যে, ভারতের দু’চাকার গাড়ির বাজার বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম। এদেশে বিক্রিত মোট যানবাহনের মধ্যে সিংহভাগ...এ কথা অনেকেই জানেন যে, ভারতের দু’চাকার গাড়ির বাজার বিশ্বের মধ্যে বৃহত্তম। এদেশে বিক্রিত মোট যানবাহনের মধ্যে সিংহভাগ অবদান রাখে টু-হুইলার। কিন্তু ২০১৯-এ অর্থনীতিতে ঝিমুনি ও তারপর কোভিডের কারণে বিক্রিবাটা অনেকটাই থিতিয়েছে। ফলে বেচাকেনায় জোয়ার আনতে ভারতীয় অটো ডিলারদের সংগঠন ফেডারেশন অফ অটোমোবাইল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন বা ফাডা (FADA) কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ীর কাছে কম দামি দু’চাকার গাড়িতে জিএসটি হার ২৮% থেকে কমিয়ে ১৮% করার আর্জি জানাল।
কম দামি দু’চাকার গাড়িতে জিএসটি হার কমানোর দাবি ফাডা-র
বর্তমানে দেশের মোট যানবাহন বিক্রিতে একটি কম দামি টু-হুইলারের অবদান কতখানি, সেই নিয়ে বুধবার কেন্দ্রীয় পরিবহণ মন্ত্রীর সাথে বৈঠকে বসেন ফাডা-র আধিকারিকরা। বৈঠকে ১০০ থেকে ১২৫ সিসি মডেলগুলির ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এগুলি মোট টু-হুইলার বিক্রিতে ৭০ শতাংশ অবদান রাখে বলে মন্ত্রীকে জানানো হয়। ফাডা-র সভাপতি মণীশ রাজ সিঙ্ঘানিয়ার মতে, কোভিডের পর থেকে এই জাতীয় মডেলের বিক্রিতে ২০ শতাংশ পতনের সাক্ষী থাকছে দেশ। তাই এগুলির বিক্রি বাড়ানো অত্যন্ত জরুরী বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বর্তমানে কম দামি দু’চাকার গাড়ি সেগমেন্টে ২৮% হারে জিএসটি ধার্য করা রয়েছে। তাই ১০০-১২৫ সিসি মডেলগুলির উপর এর পরিমাণ কমিয়ে ১৮% করা হলে বিক্রি বাড়ার আশা দেখছে ফাডা। সিংহানিয়া এই প্রসঙ্গে বলেন, “এন্ট্রি লেভেল টু-হুইলারে জিএসটি হার ২৮% থেকে কমিয়ে ১৮% করা হলে অর্থনৈতিক কৌশলের চাইতেও একটি বড় পদক্ষেপ হবে। এতে গ্রামীণ ভারতের সাধারণ রোজগেরে মানুষ উপকৃত হবেন।” তিনি জানান বর্তমানে ১৫,০০০-এর বেশি ডিলারদের প্রতিনিধিত্ব করছে ফাডা। এই ডিলারদের আবার ২৬,০০০-এর অধিক ডিলারশিপ রয়েছে এদেশে।
সংগঠনটি এর আগে জানিয়েছিল, দেশে বাইক ও স্কুটারের চাহিদা বৃদ্ধি পেলে, এর সাথে জড়িত অন্যান্য শিল্প থেকে সরকারের শুল্ক আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। তাদের বিশ্বাস, জিএসটি-র পরিমাণ কমানো হলে, দেশের গ্রামাঞ্চলের ক্রেতারা বিশেষ লাভবান হবেন। অর্থনীতির স্বার্থেই এই সমস্যার সমাধান জরুরি বলে সংগঠনের তরফে বলা হয়। এদিকে ২০১৬-তে Honda Activa-র মূল্য ৫২,০০০ থেকে ২০২৩-এ বেড়ে হয়েছে ৮৮,০০০ টাকা। যার জন্য কর বৃদ্ধিকে দায়ী করা হয়। উদাহরণের তালিকায় বাজাজ পালসারের কথাও উল্লেখ করা হয়। ২০১৬-তে এর ৭২,০০০ টাকা দাম থেকে ২০২৩-এ ১.৫ লক্ষ টাকা হয়েছে।