ধাক্কা খাবে ইলেকট্রিক স্কুটারের বিক্রি, কেন্দ্র ভর্তুকি কমানোয় শঙ্কায় ব্যাটারি গাড়ি নির্মাতারা
জুনে থেকে ফেম-২ প্রকল্পে ভর্তুকি কমার কোপ পড়বে। ফলে ভারতের বাজারে বিক্রিত সমস্ত ইলেকট্রিক টু-হুইলারের দাম বাড়তে চলেছে।...জুনে থেকে ফেম-২ প্রকল্পে ভর্তুকি কমার কোপ পড়বে। ফলে ভারতের বাজারে বিক্রিত সমস্ত ইলেকট্রিক টু-হুইলারের দাম বাড়তে চলেছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের তরফে ভর্তুকি কমানোর চূড়ান্ত ঘোষণাটি এসেছে। যা দেখে অনেক সংস্থারই মাথায় হাত। আশঙ্কা একটাই। আর্থিক সাহায্য কমে গেলে বিক্রিতে প্রভাব পড়বে। এবার সেই একই সুর শোনা গেল দুই চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সোসাইটি অফ ম্যানুফ্যাকচারার্স অফ ইলেকট্রিক ভেহিকেলস বা এসএমইভি-র কন্ঠে।
যদিও ব্যাটারি চালিত দু’চাকার গাড়ি ব্যবসায় নতুন এমন অনেক সংস্থা (স্টার্টআপ) সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তাদের বক্তব্য ভর্তুকি ছাড়াই নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হবে ইলেকট্রিক টু-হুইলার শিল্প। আবার এসএমইভি-র ডিরেক্টর জেনারেল সোহিন্দর গিল বলেন, “সাবসিডি-তে এমন আচমকা হ্রাসের ফলে বৈদ্যুতিক টু-হুইলারের বিক্রিতে প্রভাব পড়বে।”
গিল যোগ করেন, ইলেকট্রিক দু’চাকার গাড়ির শিল্প এখনও দামের বিষয়ে সংবেদনশীল। তাই আইসি মডেলের সাথে দামের ফারাক বৃদ্ধি পেলে চাহিদায় ভাটা পড়তে পারে। এক্ষেত্রে সরকারকে ধীরে ধীরে ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এদিকে গত সোমবার কেন্দ্রীয় ভারী শিল্প মন্ত্রকের তরফে ১ জুন থেকে ভর্তুকি কমানোর প্রস্তাবে সিলমোহর দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতি প্রকাশ করে সরকার জানিয়েছে, ফেম-২ প্রকল্পের আওতায় এবার থেকে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ অথবা ১৫,০০০ টাকা ছাড় পাওয়া যাবে। বর্তমানে যেখানে ৪০,০০০ টাকা ভর্তুকি দেয় কেন্দ্র। কয়েকটি স্টার্টআপ কোম্পানি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে আনন্দের সাথে গ্রহণ করেছে। যেমন VoltUp-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও সিদ্ধার্থ কাবরা বলেন, “ভর্তুকি কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার এই সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে যে এদেশে বৈদ্যুতিক যানবাহনের ইকোসিস্টেম প্রসারিত হচ্ছে।” আবার HOP Electric Mobility-র সিইও নিখিল ভাটিয়ার বক্তব্য, “ভর্তুকি কমে যাওয়া বৈদ্যুতিক দু’চাকার গাড়ি শিল্পের উন্নতির পরবর্তী পদক্ষেপ।”