ইলেকট্রিক স্কুটারে আগুন ধরে পুড়ে গেল শোরুম, প্রায় 17 লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

এ বছর গরমকাল শুরু হতেই একের পর এক ইলেকট্রিক স্কুটারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এই ধরনের দু’চাকা গাড়ির সুরক্ষা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছিল। যার প্রভাব পড়েছিল…

এ বছর গরমকাল শুরু হতেই একের পর এক ইলেকট্রিক স্কুটারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এই ধরনের দু’চাকা গাড়ির সুরক্ষা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছিল। যার প্রভাব পড়েছিল সংশ্লিষ্ট ই-স্কুটারগুলির নির্মাতাদের বিক্রিবাটায়। বর্ষার মরসুমে বৈদ্যুতিক স্কুটারে আগুন ধরে যাওয়ার তেমন কোনও খবর প্রকাশ্যে না এলেও, এখন ফের একই ঘটনার সাক্ষী থাকল দক্ষিণের রাজ্য কেরল। এখানেও যার জন্য দায়ি ইলেকট্রিক স্কুটারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্যাটারি। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে কেরলের কোঝিকোড় জেলার একটি শোরুমে। অগ্নিকান্ডে ৯টি ইলেকট্রিক স্কুটার ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের ভিডিয়োটি এক সংবাদ মাধ্যম তাদের ইউটিউব চ্যানেলে শেয়ার করেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে অগ্নিকাণ্ডের পর দমকল বাহিনী অতি তৎপরতার সাথে আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত। কেরলের কোঝিকোড় জেলার ওয়েনাড় রোডে অবস্থিত কোমাকি ইলেকট্রিক (Komaki Electric) বলে এক বৈদ্যুতিক মোটরসাইকেল এবং স্কুটার নির্মাতার শোরুমে ঘটনাটি ঘটেছে।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সার্ভিসিংয়ের জন্য সেখানে একটি ইলেকট্রিক স্কুটার আনা হয়েছিল। সেটি ছাড়াও সেখানে একাধিক ইলেকট্রিক স্কুটার এবং বাইক রাখা ছিল। সেগুলির অধিকাংশেই ব্যাটারি সম্পর্কিত সমস্যা ছিল। প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কারিগররা মেরামতির কাজে ব্যস্ত ছিলেন। তখন হঠাৎই একটি স্কুটারের ব্যাটারিতে বিস্ফোরণ ঘটে, যার আগুন নিমেষে পার্শ্ববর্তী মডেলগুলিতেও ছড়িয়ে পড়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ঘটনাটি ঘটে যায়। পুরো ডিলারশিপটি কালো ধোঁয়া গ্রাস করে।

এরপর স্থানীয়রা দমকল বাহিনীতে খবর দিলে কিছুক্ষণের মধ্যে অকুস্থলে দমকলের দুটি ইঞ্জিন হাজির হয়। আধ ঘন্টার মধ্যেই আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকল কর্মীরা। সময় মত দমকলে খবর দেওয়ার ফলে বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় কোন কর্মী অথবা গ্রাহক আহত হয়েছেন কিনা, তা জানা যায়নি। পাশাপাশি রাখা মোট ৯টি ইলেকট্রিক টু-হুইলারের মডেল আগুনের কবলে পড়ে। যার মধ্যে পাঁচটি ছিল ব্র্যান্ড নিউ মডেল। এছাড়া আরও তিনটে ইলেকট্রিক স্কুটারে আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর ফলে শোরুমের প্রায় ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইলেকট্রিক স্কুটারে বারংবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সত্যতা জানতে তদন্ত শুরু করেছিল ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও (DRDO)। তদন্তের রিপোর্টে দেখা যায়, দাম কম রাখার জন্য ইলেকট্রিক স্কুটারের ব্যাটারিতে নিম্নমানের উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে। অতীতে Ola Electric, Okinawa, Ather, Pure EV ও Jitendra Electric-এর একাধিক ইলেকট্রিক স্কুটারে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। তাই সতর্কতা হিসাবে ১ অক্টোবর থেকে ব্যাটারির জন্য আলাদা সুরক্ষাবিধি চালু করতে চলেছে সরকার।