Electric Air Taxi: যাত্রী নিয়ে আকাশে পাড়ি দেবে ট্যাক্সি! ভারতে এমন উড়োযান আসছে, খরচ পড়বে কত?
সমগ্র বিশ্বেই এয়ার ট্যাক্সি (Air Taxi) বা ইলেকট্রিক ভার্টিক্যাল টেক-অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং ভেহিকেল (eVTOL) নিয়ে যে...সমগ্র বিশ্বেই এয়ার ট্যাক্সি (Air Taxi) বা ইলেকট্রিক ভার্টিক্যাল টেক-অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং ভেহিকেল (eVTOL) নিয়ে যে গবেষণা চলছে, সে বিষয়ে আমরা অনেকেই অবগত রয়েছি। আসলে নিত্যদিন রাস্তায় যে হারে যানজট বেড়ে চলেছে, তাতে করে শহুরে মানুষের পক্ষে সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছানোই একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর তাই সমাধানের পথ খুঁজতে এই অন্তরীক্ষ নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হয়েছে। শহরের মধ্যে আকাশপথে এগুলি মানুষকে যেমন নির্ঝঞ্ঝাটে গন্তব্যে পৌঁছে দেবে, আবার ব্যাটারি নির্ভর হওয়ার কারণে দূষণ ছড়ানোর বালাই নেই। এদিকে ভারতের আমজনতাও যাতে এই এয়ার ট্যাক্সির পরিপূর্ণ সুবিধা ভোগ করতে পারেন, সেজন্য গুরুগ্রামের সংস্থা ফ্লাই ব্লেড (Fly Blade), ব্রাজিলের প্রখ্যাত এরোস্পেস কোম্পানি এমব্রায়ার (Embraer)-এর শাখা ইভ এয়ার মোবিলিটি (Eve Air Mobility) বা ইএএম-এর সাথে হাত মিলিয়েছে।
আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এদেশের আকাশে এয়ার ট্যাক্সিগুলি যাতে দাপিয়ে বেড়াতে পারে, সে কারণেই এই পদক্ষেপ। এই প্রসঙ্গে ফ্লাই ব্লেড ইন্ডিয়ার এমডি অমিত দত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা আশা করছি ইভ এয়ার ট্যাক্সিগুলি বাণিজ্যিকভাবে ২০২৬-এর মধ্যে ভারতের আকাশে ওড়াতে পারবো। বিশ্বে সর্বপ্রথম এয়ার ট্যাক্সি চালু হওয়া দেশগুলির মধ্যে অন্যতম হবে ভারত।
বছরে দু’লক্ষ ঘন্টা ধরে এয়ার ট্যাক্সিগুলি আকাশে ওড়াবে বলে ফ্লাই ব্লেডের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ইএএম। এর মানে আরবান এয়ার মোবিলিটি সংস্থাটি মোট ২০০টি এয়ার ট্যাক্সি মোতায়েন করবে, যেগুলি বছরে ১,০০০ ঘন্টা করে ভারতের আকাশে উড়বে। প্রতিটি এয়ার ট্যাক্সির দাম ৩০ লক্ষ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২৪.৪ কোটি টাকা। এই প্রসঙ্গে ইএএম-এর সহকার্যনির্বাহী আধিকারিক অ্যান্ড্রে দুয়ার্তে স্টেন বলেন, “আরবান এয়ার মোবিলিটির জন্য ভারতের বাজার গুরুত্বপূর্ণ।” কি বলেন ২০২৬-এর প্রথম সপ্তাহ অথবা মাসের মধ্যে ভারতে এগুলি ডেলিভারি করা হবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে চারজন যাত্রীর আসন সংখ্যা বিশিষ্ট এয়ার ট্যাক্সিগুলি একজন পাইলট নিয়ন্ত্রণ করবেন। পণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হবে এগুলি। eVTOL-গুলির ওজন হবে ২.৫-৩ টন। এবং ১০০ কিমি পর্যন্ত রেঞ্জ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন স্টেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে ইএএম ছয় আসন বিশিষ্ট এয়ার ট্যাক্সি মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে। এদিকে আগামী তিন বছরের মধ্যে ভারতে এয়ার ট্যাক্সি লঞ্চের উপযুক্ত ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে ফ্লাই ব্লেড।
দত্ত বলেন এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ভার্টিপোর্ট (eVTOL-এর জন্য এয়ারপোর্ট) এবং নিরাপদে আকাশে ওড়ার জন্য এয়ার নেভিগেশন সিস্টেম। প্রসঙ্গত, বর্তমানে মুম্বাই, পুণে এবং শিরডি-র মধ্যে হেলিকপ্টার পরিষেবা প্রদান করে ব্লেড। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সাধারণ মানুষ ১০,০০০ টাকার বিনিময়ে এই পরিষেবা গ্রহণ করতে পারেন।