পরিবেশ বাঁচাতে বিশাল সিদ্ধান্ত, ডিজেল গাড়ি নিষিদ্ধ করার পথে হাঁটতে পারে ভারত সরকার
পরিবেশ দূষণের সাথে লড়াইতে টিকে থাকতে বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ভারত সরকার। দেশের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে...পরিবেশ দূষণের সাথে লড়াইতে টিকে থাকতে বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব পদক্ষেপ গ্রহণ করছে ভারত সরকার। দেশের নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বিকল্প জ্বালানির যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানোর প্রচারের পাশাপাশি জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এবারে কেন্দ্রীয় তেল মন্ত্রকের একটি প্যানেল থেকে আরও এক নতুন প্রস্তাব উত্থাপিত হল। ২০২৭-এর মধ্যে ভারতের সমস্ত বড় শহরে ডিজেল চালিত চার চাকা গাড়ির চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করার প্রস্তাব রাখা হল।
রয়টার্স সূত্রে খবর, যে সমস্ত শহরে ১০ লক্ষের বেশি মানুষের বসবাস, সেখানে সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক এবং গ্যাস চালিত যানবাহন ব্যবহারের পক্ষে সওয়াল করেছে কক্ষটি। আবার যে সমস্ত শহরে দূষণ মাত্রাতিরিক্ত, সেখানে ডিজেল গাড়ি নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে। ভারত গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমনের একটি অন্যতম উৎস, যাতে সর্বাধিক প্রভাব ফেলে যানবাহন থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া। কাজেই পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিস্বরূপ ভারত সরকার একাধিক ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আনছে।
ই বিগত কয়েক বছর ধরে অটোমোবাইল ক্ষেত্রটিকে একাধিক নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ডিজেল ফোর হুইলার ব্যানের প্রস্তাবটিও এই কৌশলের অংশবিশেষ। বর্তমানে ভারতে প্রয়োজনীয় জ্বালানির এক পঞ্চমাংশ জুড়ে রয়েছে ডিজেল। যার মধ্যে ৮০ শতাংশই ব্যবহার হয় পরিবহণ ক্ষেত্রে। ভারতের বাণিজ্যিক গাড়ির বেশিরভাগই ডিজেলে চলে। অল্প সংখ্যক যাত্রীবাহী গাড়িতেও ডিজেলের ব্যবহার দেখা যায়।
তেল মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, “চলতি দশকের শেষ অর্থাৎ ২০৩০-এর মধ্যে বৈদ্যুতিক বাস ছাড়া জীবাশ্ম জ্বালানিতে চলাচলকারী বাস বাজারে বিক্রি হওয়া উচিত নয়। ২০২৪ থেকেই গণপরিবহনে নতুন করে ডিজেল বাসের সংযুক্তি বন্ধ করে দেওয়া উচিত।” তবে প্যানেলের প্রস্তাব ক্যাবিনেটে আদৌ গৃহীত হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনও কোন নিশ্চিত বার্তা এসে পৌঁছায়নি।