মানুষের মতো শ্রাদ্ধ হল গাড়ির! ৪ লাখ টাকা খরচে ১৫০০ জনের দেদার ভুরিভোজ করাল পরিবার
সুবোধ ঘোষের অযান্ত্রিক গল্পে বিমলের জগদ্দল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল অনেকেই। গাড়ির প্রতি টান যে মানুষের থেকেও কিছু কম নয় তা...সুবোধ ঘোষের অযান্ত্রিক গল্পে বিমলের জগদ্দল সম্পর্কে ওয়াকিবহাল অনেকেই। গাড়ির প্রতি টান যে মানুষের থেকেও কিছু কম নয় তা প্রমাণিত হল গুজরাতের আমরেলি পরিবারে। ১২ বছর বয়স হয়েছিল প্রিয় গাড়ির। মডেল মারুতি ওয়াগনআর। সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান মেনেই করা হল গাড়ির শেষকৃত্য। অনুষ্ঠান আয়োজনে খরচ হল ৪ লাখ টাকা। এলেন ১৫০০ জন লোক।
মানুষের শেষকৃত্যে যা দেখা যায় না তা দেখা গেল গাড়ির সমাধিতে। গাঁদা ফুলের মালা, গোলাপ ফুলের পাপড়ি দিয়ে সাজিয়ে মাটির ১৫ ফুট নীচে সমাধি দেওয়া হয়েছে গাড়িটি। এই গাড়ির মালিকের নাম সঞ্জয় পোলারা। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, গাড়িটি বছরের পর বছর ধরে পরিবারের জন্য সমৃদ্ধি এবং সম্মান নিয়ে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, “আমি প্রায় ১২ বছর আগে এই গাড়িটি কিনেছিলাম এবং এটি পরিবারের জন্য অনেক সমৃদ্ধি বয়ে এনেছিল। ব্যবসায় সাফল্য দেখার পাশাপাশি আমার পরিবার যথেষ্ট সম্মান অর্জন করেছে। গাড়িটি আমার এবং আমার পরিবারের জন্য ভাগ্যবান প্রমাণিত হয়েছিল। তাই এটি বিক্রি করার বদলে আমি এটির শেষকৃত্য করতে চেয়েছি।”
ইনস্টাগ্রামে ইতিমধ্যে ভাইরাল সেই ভিডিয়ো। যা দেখে কার্যত অবাক নেটিজেনরা। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, দু’প্রান্তে মানুষের ভিড়, মাটি খুঁড়ে সমাধি দেওয়া হচ্ছে গাড়িটির। ক্যামেরা হাতে সবাই এই অভিনব মুহূর্ত ফোনবন্দি করে রাখতে চাইছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে আসতেই প্রচুর শেয়ার হতে শুরু হয়েছে সেই ভিডিয়ো।
আরও অবাক করা বিষয় হল, এই অনুষ্ঠানের জন্য গ্রামের প্রায় ২০০০ লোককে চার পাতার একটি আমন্ত্রণ পাঠিয়েছেন গাড়ির মালিক। সঞ্জয় পোলারা জানান, তিনি সমাধিস্থলে একটি গাছ লাগাতে চান, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে গাড়ির তাৎপর্যের প্রতীক হয়ে থাকবে। গাছটি একটি অনুস্মারক হিসাবে দাঁড়িয়ে থাকবে যে এটির নীচে রয়েছে তাঁদের পরিবারের সবথেকে ভাগ্যবান গাড়ি।