বৈদ্যুতিক গাড়ি নীতির সুফল দেখছে এই রাজ্য, ভর্তুকি প্রদানের ফলে বিক্রি বেড়েছে ৯৫০%
বৈদ্যুতিক যানবাহনের প্রতি গুজরাত সরকারের প্রচারাভিযান ফলপ্রসূ হয়েছে। গত ক’বছরে ইলেকট্রিক ভেহিকেলের বিক্রি ৯৫০% বাড়লো...বৈদ্যুতিক যানবাহনের প্রতি গুজরাত সরকারের প্রচারাভিযান ফলপ্রসূ হয়েছে। গত ক’বছরে ইলেকট্রিক ভেহিকেলের বিক্রি ৯৫০% বাড়লো গুজরাতে। সরকারি সূত্রের খবর, ২০১৯-এর শেষে এই জাতীয় গাড়ির নথিভুক্তকরণের সংখ্যাটি বড়জোর ৯৫০ ছিল। ২০২০-তে তা ১,১১৯ হয়। তবে তার পরের বছর অর্থাৎ ২০২১-এর শেষে নথিভুক্তকরণের পরিমাণ বেড়ে হয় ৯,৭৮০। যা সত্যিই তাজ্জব করার মতো! ফলাফলস্বরূপ বৈদ্যুতিক গাড়ির বেচাকেনায় ৯৫৬ শতাংশ উত্থান নজরে পড়ে।
গুজরাতের পরিবহণ দপ্তরের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা দাবি করেন, ২০২১-এর জুন মাসে গুজরাত সরকার ইভি নীতি (EV Policy) নিয়ে আসার পর থেকে বৈদ্যুতিক গাড়ি নিবন্ধীকরণ ক্রমশ বাড়তে দেখা যায়। যেখানে ক্রেতাদের জন্য ভর্তুকি এবং আর্থিক ভাতা উপলব্ধ রয়েছে। এমনকি যারা চার্জিং পরিকাঠামো তৈরিতে বিনিয়োগ করবেন, তাদের জন্যও রয়েছে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা। ন্যাশনাল ইলেকট্রিক মোবিলিটি প্ল্যান (NEMP)-এর সাথে আসা ইভি পলিসি-র কাঁধে ভর করে রাজ্যের পরিকল্পনা, ২০২৫-এর মধ্যে রাস্তায় কমপক্ষে দু'লক্ষ বৈদ্যুতিক যানবাহনের মাত্রায় পৌঁছানো।
এই দু'লক্ষ বৈদ্যুতিক যানবাহনের মধ্যে ১.২৫ লক্ষ হবে ইলেকট্রিক টু-হুইলার, বৈদ্যুতিক তিন ও চার চাকার গাড়ির সংখ্যা হবে যথাক্রমে ৭৫,০০০ ও ২০,০০০। অন্যদিকে, গুজরাতে পেট্রল-ডিজেল চালিত গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের হার শতকরা ২৫ শতাংশ কমেছে বলে সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে। সরকারের তরফে আরও বলা হয়েছে, এটি নতুন প্রবণতার কেবল সূত্রপাত। আগামীতে পর্যাপ্ত চার্জিং পরিকাঠামো এবং ব্যাটারি সোয়াপিং সার্ভিস গড়ে উঠলে প্রথাগত জ্বালানির যানবাহনের নথিভুক্তকরণের সংখ্যাটি আরও কমতে দেখা যাবে।
২০১৯-এ যেখানে ১৬.১৬ লক্ষ পেট্রল-ডিজেল গাড়ির নিবন্ধীকরণ হয়েছিল ২০২১-এ সেই সংখ্যাটি বড়জোর ১২ লাখ পার করেছে। ২০২০-তে ১১.১২ লক্ষ প্রথাগত জ্বালানির গাড়ি বিক্রি হয়েছিল গুজরাতে। বলা হয়েছে, গুজরাত সরকার প্রতি বছর ৬ লক্ষ টন কার্বন নির্গমন কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। প্রসঙ্গত, বৈদ্যুতিক দু’চাকার গাড়িতে ২০,০০০ টাকা, এবং তিন ও চার চাকার গাড়িতে যথাক্রমে ৫০,০০০ ও ১.৫ লক্ষ টাকার (সর্বাধিক) ভর্তুকি দেয় গুজরাত সরকার।