হরিয়ানা সরকার যেন কল্পতরু, বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে 10 লাখ পর্যন্ত ইনসেন্টিভ দেবে

বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ুর পরিবর্তন আটকাতে পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমানো ভিন্ন আর কোনো উপায় নেই। তাই দেশ বিদেশের বিভিন্ন সরকার বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানোতে জোর…

বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জলবায়ুর পরিবর্তন আটকাতে পরিবেশ দূষণের মাত্রা কমানো ভিন্ন আর কোনো উপায় নেই। তাই দেশ বিদেশের বিভিন্ন সরকার বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানোতে জোর দিচ্ছে। দেশের তথা রাজ্যের মানুষের কাছে এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে আকর্ষণীয় আর্থিক সুবিধার কথা ঘোষণা করা হচ্ছে। এবারে হরিয়ানা সরকারও সেই পথেই হাঁটলো। সম্প্রতি রাজ্যের বৈদ্যুতিক গাড়ি নীতি ২০২২ (EV Policy 2022)-এর ঘোষনা করা হয়েছে। সোমবার হরিয়ানার বিধানসভায় বৈদ্যুতিক নীতিতে সায় দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরের মন্ত্রীসভা। এই নীতি অনুযায়ী হরিয়ানাতে ব্যাটারি চালিত যানবাহন কিনলে ১৫ শতাংশ অব্দি ডিসকাউন্ট দেওয়া হবে।

ক্যাবিনেট বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলন করে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দূষণের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে ইভির ব্যবহার প্রত্যেক মুহূর্তে প্রয়োজন। বৈদ্যুতিক গাড়ি কেবলমাত্র পরিবেশ দূষণ কমাতে সাহায্য করে না, একইসাথে পেট্রোলিয়াম পণ্যের ব্যবহার কমানোতেও ভূমিকা রাখে। তিনি জানান, হরিয়ানার বৈদ্যুতিক গাড়ি নীতি গ্রাহকদের পাশাপাশি নির্মাতা এবং যারা এর ওপর গবেষণা ও উন্নয়নের কাজ করছেন, তাদেরকেও সহায়তা করবে।

খট্টর জানান, ১৫ লাখ থেকে ৪০ লাখ টাকা দামের গাড়ির ওপর দেওয়া হবে ৬ লাখ টাকা অথবা ১৫% ডিসকাউন্ট (যেটি কম হবে)। আবার ওই একই রেঞ্জের একটি হাইব্রিড ইলেকট্রিক গাড়ি কিনলে ৩ লাখ অথবা ১৫% (যেটি কম হবে) ছাড় পাওয়া যাবে। এছাড়া ৪০-৭০ লাখ টাকার ইলেকট্রিক কার (Electric Car) কিনলে দেওয়া হবে ১০ লাখ টাকা অথবা ১৫% ছাড় (যেটি কম হবে)। আবার, বৈদ্যুতিক দুই ও তিন চাকার গাড়ি কিনলে পথ কর সম্পূর্ণ মকুব করা হবে।

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এই বৈদ্যুতিক গাড়ি নীতি অনুযায়ী নির্মাণকারী সংস্থাগুলিকে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে। ১০ বছরের জন্য ৫০% রাজ্য জিএসটি মকুব করা হবে। এছাড়া স্ট্যাম্প ডিউটি দিতে লাগবে না। আবার আগামী ২০ বছরের জন্য ইলেকট্রিসিটি ডিউটি দেওয়া থেকে রেহাই মিলবে। অন্যদিকে, বৈদ্যুতিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়াতে এর পরিকাঠামো উন্নয়ন যেমন আরও বেশি চার্জিং স্টেশন বসানো হবে। সরকারি, ব্যক্তিগত আবাসন, শপিং মল, শিক্ষা ক্ষেত্রে এগুলি বসানো হবে।

নতুন ইলেকট্রিক চার্জিং প্রযুক্তি নিয়ে যেই সকল শিক্ষা কেন্দ্র গবেষণা করছে, মুখ্যমন্ত্রীর কথানুযায়ী তারা সেই প্রকল্পের ৫০% টাকা সরকারের থেকে পেয়ে যাবেন। আবার স্টার্টআপ সংস্থা, যারা নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করছে, এই নীতিতে তারাও সুবিধা পাবেন। খট্টর জানান, ওইদিন ক্যাবিনেট বৈঠকে হরিয়ানা স্টেট ডেটা সেন্টার পলিসি-২০২২-কে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন