ইলেকট্রিক স্কুটারে আর আগুন ধরবে না, অত্যাধুনিক ব্যাটারি তৈরি করে কামাল Hero-র
২০২২ শুরু হওয়ার পর থেকে ভারতে একের পর এক ইলেকট্রিক স্কুটারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্তম্ভিত হয়েছিল দেশবাসী। ফলত নড়েচড়ে...২০২২ শুরু হওয়ার পর থেকে ভারতে একের পর এক ইলেকট্রিক স্কুটারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্তম্ভিত হয়েছিল দেশবাসী। ফলত নড়েচড়ে বসে দেশের সরকার। কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দেওয়া হয় তদন্তের নির্দেশ। তদন্তে অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ হিসেবে প্রধানত ব্যাটারিতে ব্যবহৃত নিম্নমানের উপাদানের কথা উঠে আসে। যারপর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জারি করা হয় দেশে ইলেকট্রিক স্কুটার নির্মাণের কিছু সুরক্ষাবিধি। যেকোনো সংস্থাকে দেশের বাজারে স্কুটার আনতে গেলে এই বিধি পালন করেই আনতে হবে। যা দেখে দেশের প্রথম সারির ইলেকট্রিক টু-হুইলার সংস্থা হিরো ইলেকট্রিক (Hero Electric)এবারে অধিক সুরক্ষিত ব্যাটারি লঞ্চ করল।
ব্যাট্রিক্স (Battrixx) নামক এক সংস্থার সাথে যৌথ উদ্যোগে তৈরি হওয়া ওই ব্যাটারির নামকরণ করা হয়েছে আল্ট্রা সেফ’। হিরোর তরফে দাবি করা হয়েছে, অত্যাধুনিক লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি প্যাকটি ভারতের মাটিতেই নির্মিত। এগুলি সংস্থার গবেষণা এবং উন্নয়ন দল নিজের হাতে তৈরি করেছে। সংস্থার নতুন উন্নয়ন কৌশল প্রসঙ্গে জানানো হয়েছে, তারা আরও উন্নত এবং হাইটেক ব্যাটারি তৈরি করবে। যেগুলি সংস্থার সমস্ত ইলেকট্রিক টু-হুইলারে ব্যবহার করা হবে।
নতুন প্রযুক্তির সম্পর্কে বলতে গিয়ে হিরো জানিয়েছে, তাদের এই ব্যাটারি নতুন সেল রসায়ন প্যাক ডিজাইন সহ এসেছে। তাদের লক্ষ্য, অংশীদারি সংস্থাটির থেকে আগামী এক বছরের মধ্যে এহেন ৩ লক্ষ ব্যাটারি এবং চার্জার উৎপাদন করা। এগুলি ভারত সরকারের AIS 156 সংশোধনী মেনে IP67 বিধি মত তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছে হিরো।
আল্ট্রা সেফ ব্যাটারিতে রয়েছে এ/ভি ওয়ার্নিং সিস্টেম, স্মার্ট বিএমএস, এবং আইওটি সহ লাইভ ডেটা ট্র্যাকিং। হিরো ইলেকট্রিকের সিইও সোহিন্দর গিল বলেন, “ব্যাটারির স্থানীয়করণ পাঁচ বছর আগেই শুরু হয়েছিল যাতে সরকারের ফেম-টু ভর্তুকি পাওয়া যায়। যদিও এ বিষয়ে কম উৎপাদন এবং উচ্চ বিনিয়োগের কারণে মানুষের আগ্রহ কম ছিল। আমরা ভারতের আবহাওয়া এবং রাস্তায় চলাচলের উপযুক্ত ব্যাটারির গবেষণা এবং উন্নয়নের প্রক্রিয়া জারি রাখবো।”