Hero Passion Pro: মধ্যবিত্তের ফেভারিট বাইকের বিক্রি বন্ধ করল হিরো, কী উপায় এখন
ক্রেতাদের জন্য চমক আনতে দু'চাকা গাড়ি নির্মাতাদের প্রায়ই নিজেদের পোর্টফলিও ঢেলে সাজাতে দেখা যায়। যেমন নতুন মডেল লঞ্চ...ক্রেতাদের জন্য চমক আনতে দু'চাকা গাড়ি নির্মাতাদের প্রায়ই নিজেদের পোর্টফলিও ঢেলে সাজাতে দেখা যায়। যেমন নতুন মডেল লঞ্চ হলে পুরনো টু-হুইলালের বিক্রি বন্ধ করার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায় সংস্থাগুলির মধ্যে। যেমন সম্প্রতি নতুন Xtreme 200S 4V বাজারে আনার কারণে পুরনো 2V ভার্সন বন্ধ করে দিয়েছে Hero। এবার Passion Pro মডেলের ক্ষেত্রেও একই পথে হাঁটল তারা। হিরোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে এর কমিউতার বাইকটির যাবতীয় তথ্য মুছে ফেলা হয়েছে। অর্থাৎ বিক্রি বন্ধ করার দিকেই ইঙ্গিত করছে সংস্থা। তবে এতে শ্চিন্তার কিছু নেই। কারণ হিরোর ঝুলিতে এই সিরিজের আরও দুটি মডেল উপলব্ধ – Passion Plus ও Passion Xtec। যাদের বিক্রি আগের মতোই জারি রয়েছে।
Passion Pro-এর বিক্রি বন্ধ করল Hero MotoCorp
বিক্রি বন্ধের আগে Passion Pro-এর বেস মডেলের দাম ছিল ৮৫,০০০ টাকা (এক্স-শোরুম)। মোট দুটি ট্রিমে বেছে নেওয়া যেত এটি – ড্রাম ও ডিস্ক। শক্তির উৎস হিসাবে ছিল ১১৩.২ সিসি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন যা থেকে ৯.০২ বিএইচপি শক্তি এবং ৯.৮৯ এনএম টর্ক উৎপন্ন হতো।
এদিকে Passion Xtec-এও এই একই পাওয়ারট্রেন ও হার্ডওয়্যার বর্তমান। তবে প্রিমিয়াম মডেল হওয়ার কারণে বেশ কিছু অতিরিক্ত ফিচার আছে উপলব্ধ। যেমন – এলইডি হেডলাইট, ফুল ডিজিটাল কনসোল, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি, কল ও এসএমএস অ্যালার্ট। এছাড়া রয়েছে ইউএসবি চার্জিং পোর্ট এবং বাড়তি সুরক্ষার জন্য সাইড স্ট্যান্ড কাট-অফ সেন্সর। মডেলটির বর্তমান বাজারমূল্য ৮০,০৩৮ টাকা (এক্স-শোরুম)।
আর যদি ছিমছাম ফিচার যুক্ত মোটরসাইকেল পছন্দের তালিকায় থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে Passion Plus আদর্শ। এর ৯৭.২ সিসি ইঞ্জিন থেকে ৭.৯১ বিএইচপি শক্তি ও ৮.০৫ এনএম টর্ক মেলেয। মোটরসাইকেলটির ফিচারের তালিকায় উপস্থিত সেমি ডিজিটাল ক্লাস্টার, ইউএসবি চার্জিং পোর্ট, সাইড স্ট্যান্ড কাট-অফ ফাংশন এবং Hero-র স্ট্যান্ডার্ড i3S টেকনোলজি। এটি কিনতে খরচ করে ৭৬,৩০১ টাকা (এক্স-শোরুম)।