বিশ্বের বৃহত্তম টু-হুইলার সংস্থা হওয়া সত্ত্বেও বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে হিরো মোটোকর্প (Hero MotoCorp) কিন্তু নতুন খেলোয়াড়। কারণ গতকালই সংস্থাটি প্রথম তাদের ইলেকট্রিক স্কুটার লঞ্চ করেছে। এদিকে আইসি ইঞ্জিনের টু-হুইলারের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে হিরো। ই-স্কুটার লঞ্চের ২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরোতেই ভিডা (Vida) ব্র্যান্ডের আওতায় ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল লঞ্চের কথা নিশ্চিত করল সংস্থা।
এই প্রসঙ্গে হিরো মোটোকর্পের চেয়ারম্যান এবং সিইও পবন মুঞ্জল বলেন, “ইলেকট্রিক স্কুটার দিয়ে শুরু করার কারণ সমগ্র ইকোসিস্টেম সেদিকেই ঝুঁকে রয়েছে। কার্যত বেশিরভাগ সংস্থা বাজারে ব্যাটারি পরিচালিত মোটরসাইকেলের বদলে স্কুটার নিয়ে এসেছি। আমরা ইতিমধ্যেই ই-বাইক সংস্থায় বিনিয়োগ করেছি। স্পষ্টতই মোটরসাইকেল আনতে চলেছি আমরা।”
উল্লেখ্য গত মাসে মার্কিন প্রিমিয়াম ইলেকট্রিক বাইক ও পাওয়ার ট্রেন নির্মাতা জিরো মোটরসাইকেলস (Zero Motorcycles)-এর সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছে হিরো। ক্যালিফোর্নিয়ার সংস্থাটিতে ৬ কোটি ডলার বা প্রায় ৪৯০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্তের কথা জানায় হিরো। যা হিরোর শীঘ্রই বাজারে ব্যাটারি চালিত বাইক আনাকেই ইঙ্গিত করেছিল। এবারে কোম্পানির ঘোষণায় যা নিশ্চিত।
প্রসঙ্গত, হিরোর নতুন ইলেকট্রিক স্কুটার Vida V1-এর ফিচারের তালিকায় রয়েছে একটি ৭ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন, কিলেস কন্ট্রোল, ক্রুজ কন্ট্রোল, S.O.S অ্যালার্ট এবং টু ওয়ে থ্রটল। উভয় ভ্যারিয়েন্টেই রয়েছে তিনটি রাইডিং মোড – ইকো, রাইড এবং স্পোর্টস। এদিকে স্কুটার নিয়ে আসার সাথে ভিডা চার্জিং নেটওয়ার্ক লঞ্চ করেছে হিরো মোটোকর্প।
Vida V1-এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৮০ কিমি। V1 Plus ও Pro-এর রেঞ্জ যথাক্রমে ১৪৩ কিমি ও ১৬৫ কিমি। প্রো মডেলটি ০-৪০ কিমি/ঘন্টার গতিবেগ ৩.২ সেকেন্ডে তুলতে সক্ষম। যেখানে প্লাস ভ্যারিয়েন্টটি এই পরিমাণ গতি ৩.৪ সেকেন্ডে অর্জন করবে। মডেল দুটিতে রয়েছে একটি ৬ কিলোওয়াট বৈদ্যুতিক মোটর যার আউটপুট ৩.৯ কিলোওয়াট।