Electric Cycle: ইলেকট্রিক সাইকেলে ভর্তুকির দাবিতে কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানাল Hero
ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রিতে উৎসাহ দিতে ভারত সরকার চালু করেছিল ফেম (FAME) প্রকল্প। বর্তমানে যার দ্বিতীয় পর্যায় (ফেম-২) চলছে।...ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রিতে উৎসাহ দিতে ভারত সরকার চালু করেছিল ফেম (FAME) প্রকল্প। বর্তমানে যার দ্বিতীয় পর্যায় (ফেম-২) চলছে। এতে গণ পরিবহণে ব্যবহৃত নির্দিষ্ট বিদ্যুৎচালিত তিন চাকা ও চার চাকা গাড়ি এবং বৈদ্যুতিক দু'চাকা গাড়ি কিনলে এককালীন ছাড় হিসেবে ভর্তুকি পান গ্রাহকরা। ফেম-টু প্রকল্পে ব্যাটারিচালিত সাইকেলকে অর্ন্তভুক্ত করার দাবি উঠছে দীর্ঘদিন ধরেই। এবার পঙ্কজ মুঞ্জলের নেতৃত্বে হিরো মোটরস (HMC) ই-সাইকেলকে সাবসিডি স্কিমের আওতায় আনার উদ্দেশ্যে সরাসরি মোদি সরকারের কাছে আর্জি জানালো। সূত্রের খবর, এই বিষয়ে সম্প্রতি ভারী শিল্প মন্ত্রক এবং নীতি আয়োগের দপ্তরে কথা বলতে গিয়েছিলেন তিনি।
বর্তমানে ফেম-২ প্রকল্পের অধীনে কিছু ইলেকট্রিক বাস, তিন ও চার চাকার যাত্রীবাহী গাড়ি এবং টু-হুইলার প্রস্তুতকারীরা ভর্তুকি পান। ফলস্বরূপ গাড়ির এক্স-শোরুম মূল্যে ছাড় থাকার কারণে লাভবান হন গ্রাহকরা। তবে ইনসেন্টিভ পেতে গেলে বেশ কিছু শর্ত পূরণের কথা বলা হয়েছে। যেমন, টু-হুইলারের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গতিবেগ অবশ্যই ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার এবং রেঞ্জ কমপক্ষে ৮০ কিলোমিটার হতে হবে। ইলেকট্রিক স্কুটার অথবা বাইক এই শর্ত পূরণ করলে তবেই ভর্তুকি পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়।
বাজারচলতি অধিকাংশ ইলেকট্রিক বাইসাইকেলের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৪০ কিমি নয়। বড়জোর তা ২৫ কিমি/ঘন্টা আর তাই ই-সাইকেল ফেম-২ প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। যে কারণে ইলেকট্রিক সাইকেল ব্যবহারকারীরা এককালীন কোনও ছাড় পাচ্ছেন না। ভর্তুকি না মেলায় দাম বেশি হওয়ার কারণে বিদেশের মতো ভারতে এখনও ই-সাইকেল তেমন জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি।
দু'চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারির ক্ষমতা অনুযায়ী মোট দামের সর্বোচ্চ ৪০% হিসাবে কিলোওয়াট পিছু ১৫,০০০ টাকা ভর্তুকি দেয় কেন্দ্র। এর ফলে প্রায় ১২-৩৩% কম খরচ হয় ক্রেতাদের। আসলে পঙ্কজ মুঞ্জলের ছেলে আদিত্য মুঞ্জলের ইলেকট্রিক বাইসাইকেল উৎপাদনকারী সংস্থা হল Hero Lectro। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের ভর্তুকির আওতায় নিয়ে আসতেই এই তোড়জোড়।