Honda এবার ইলেকট্রিক বাইকের জগতে, মাইলেজ-ফিচার কেমন হবে? রইল খুঁটিনাটি
বিশ্বজুড়ে বেড়ে চলা পরিবেশ দূষণের সরাসরি ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে মানব সভ্যতায়। বিশ্ব উষ্ণায়নের নাগপাশে আবদ্ধ সুমেরু থেকে...বিশ্বজুড়ে বেড়ে চলা পরিবেশ দূষণের সরাসরি ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে মানব সভ্যতায়। বিশ্ব উষ্ণায়নের নাগপাশে আবদ্ধ সুমেরু থেকে কুমেরু। বরফ গলে জলস্তর বাড়ছে হু হু করে। এই পরিস্থিতিতে যত দ্রুত সম্ভব পরিবেশ দূষণকে "অ্যারেস্ট" করা ছাড়া গতি নেই। অবশ্য সেই উদ্দেশ্যে কোমর বেঁধে নেমেছে রাষ্ট্রনায়করা। আর তার সাথেই শুরু হয়েছে কার্বন নিঃসরণ কমানোর কড়া নির্দেশিকা। ইন্টারনাল কম্বাশন ইঞ্জিন ( ICE) এর পরিবর্তে বিদ্যুৎ চালিত গাড়ির ব্যবহার চালু করাই মুখ্য উদ্দেশ্য সব নির্মাতার কাছে। এমনকি প্রতিনিয়ত ইলেকট্রিক ভেইকেলের জগতে নিত্যনতুন স্টার্টআপ সংস্থার পাশাপাশি দেশ-বিদেশের প্রতিষ্ঠিত নামজাদা সংস্থাও উঠেপড়ে লেগেছে তাদের নতুন ইভি বাজারে আনতে। সেই পথেই নাম লেখালো জাপানের জনপ্রিয় মোটর বাইক নির্মাতা হোন্ডা (Honda)।
ইতিমধ্যেই তাদের প্রথম বৈদ্যুতিক স্কুটার লঞ্চ করেছে করেছে হোন্ডা। আর এবার এক ধাপ এগিয়ে ব্যাটারি চালিত মোটরবাইক আনার পরিকল্পনা ঘোষণা করলো তারা। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে অন্তত ১০টি নতুন ব্যাটারি চালিত বাইক ও স্কুটার লঞ্চ হবে তাদের হাত ধরে। তবে এই ব্যাপারে প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে আগামী জানুয়ারি মাসের ২ তারিখ ক্যালিফোর্নিয়াতে অনুষ্ঠিত রোজ প্যারেড (Rose Parade) অনুষ্ঠানে সংস্থার প্রথম ইলেকট্রিক বাইক আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। মডেলটির একটি স্কেচ প্রকাশ করেছে হোন্ডা। কী কী থাকতে পারে ব্যাটারি চালিত এই বাইকে? চলুন দেখে নেওয়া যাক।
আধুনিক ডিজাইন
হোন্ডার প্রথম ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলের ডিজাইন অনেকাংশেই CB750 Hornet-র থেকেই অনুকরণ করা হয়েছে। সামনে রয়েছে মাস্কুলার ট্যাংকের মত কাঠামো, চওড়া হ্যান্ডেল বার, স্প্লিট সিট, কৌণিক হেডলাইট, উচ্চশক্তি সাশ্রয়ী এলইডি লাইট এবং সরু টেলল্যাম্প সহ পশ্চাৎ ভাগ। এছাড়াও ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এবং হালকা ওজনের অ্যালয় হুইল থাকবে এতে।
আকর্ষণীয় রাইডিং রেঞ্জ
যে কোনো ধরনের ব্যাটারি চালিত গাড়ি কিংবা মোটর বাইকের ক্ষেত্রে রাইডিং রেঞ্জ অর্থাৎ সম্পূর্ণ চার্জে কতটা চলতে পারবে সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটারির সক্ষমতার উপরেই নির্ভর করে এই রেঞ্জ। হোন্ডা তার নতুন বাইকটির টেকনিক্যাল স্পেসিফিকেশন সম্পর্কে কোনো তথ্য এখনো পর্যন্ত প্রকাশ করেনি। তবে এই বাইকে থাকা বৈদ্যুতিক মোটরের সাথে উচ্চ ক্ষমতার ব্যাটারি প্যাক থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই এটি এক চার্জে প্রায় ২০০ কিমি পথ চলতে পারবে বলে অনুমান।
উন্নত সাসপেনশন ও ব্রেক
বাইকের চালকের সেফটির জন্য এই ইলেকট্রিক বাইকটির উভয় চাকাতেই ডিস্ক ব্রেক সহ ডুয়েল চ্যানেল এবিএস উপলব্ধ থাকবে। এছাড়াও রিজেনারেটিভ ব্রেকিং সিস্টেম এবং একাধিক রাইডিং মোড থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এতে। তবে আপকামিং এই বাইকের সাসপেনশনের দায়িত্ব সামলাবে সামনের চাকায় থাকা ইউএসডি ফর্ক ও পিছনের চাকার মনোসক অ্যাবজর্ভার।
কবে আসবে?
নতুন হোন্ডার এই বৈদ্যুতিক বাইকটির মূল্য এবং লঞ্চের দিনক্ষণ সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জানা যাবে এর লঞ্চ ইভেন্টে। তবে এই টু-হুইলারটি একটি উচ্চ পারফরম্যান্স প্রদানকারী হিসেবেই যে বাজারে আসবে তা এক প্রকার নিশ্চিত।