Plug In Hydrogen EV: জ্বালানি ফুরালেও থামবে না, অভিনব গাড়ি এনে হইচই ফেলল Honda

পরিবেশ দূষণ সৃষ্টিকারী ছাড়াও অগ্নিমূল্যের দুর্নামের বোঝা রয়েছে পেট্রোল-ডিজেলের কাঁধে। যার বিকল্প হিসেবে বাজারে এসেছে ইলেকট্রিক যানবাহন। এবারে ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক হিসেবে হাইড্রোজেনকেও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার…

পরিবেশ দূষণ সৃষ্টিকারী ছাড়াও অগ্নিমূল্যের দুর্নামের বোঝা রয়েছে পেট্রোল-ডিজেলের কাঁধে। যার বিকল্প হিসেবে বাজারে এসেছে ইলেকট্রিক যানবাহন। এবারে ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক হিসেবে হাইড্রোজেনকেও জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে বিভিন্ন সংস্থা। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এক সময় সিংহভাগ গাড়ি ব্যবহারকারী পাম্পে গিয়ে পেট্রোল-ডিজেল নয়, বরং ব্যাটারিতে চার্জ অথবা হাইড্রোজেনের মতো পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ভরাতে যাবেন। কথাটা যে কতটা সত্যি তার প্রমাণ মিলল হাতেনাতে। হোন্ডা (Honda) আমেরিকার প্রথম প্লাগ ইন হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ইলেকট্রিক ভেহিকেলের উপর থেকে পর্দা সরিয়েছে। যার নাম CR-V e:FCEV। এটি আদতে CRV SUV-র হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ভার্সন। গাড়িটির বিশেষত্ব কী, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

Honda CR-V e:FCEV খুঁটিনাটি

আমেরিকার বাজারে এই প্রথম কোন প্লাগ ইন হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল ইলেকট্রিক ভেহিকেল বিক্রি হতে চলেছে। সংস্থার দাবি, এটি ৪৩৪ কিলোমিটার রেঞ্জ প্রদান করবে। আবার শুধুমাত্র ব্যাটারির সাহায্যে ৪৭ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে সক্ষম গাড়িটি।

আইসিই ভার্সনের চাইতে CR-V e:FCEV-এর ডিজাইন সামান্য আলাদা। এতে দেওয়া হয়েছে স্লিক লুকের হেড ল্যাম্প এবং কম চওড়া আপ ফ্রন্ট গ্রিল। সামনের বাম্পারের ডিজাইনেও বদল ঘটানো হয়েছে। আগের চাইতে রয়েছে বৃহত্তর এয়ার ইনটেক ব্যবস্থা। তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন বলতে পেছনে এগজস্ট অনুপস্থিত।

CR-V e:FCEV-এর ভেতরে এর স্ট্যান্ডার্ড ভার্সনের সাথে প্রায় সমান বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা গেছে। উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হিসেবে রয়েছে একটি ১০.২ ইঞ্চি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, ৯ ইঞ্চি এইচডি টাচস্ক্রিন, যা ওয়্যারলেস অ্যাপেল কারপ্লে এবং অ্যান্ড্রয়েড অটো সমর্থন করবে। এছাড়া ওয়্যারলেস ফোন চার্জিং, একটি ১২-স্পিকার বোস প্রিমিয়াম অডিও সিস্টেম, পাওয়ার অ্যাডজাস্টেবল হিটেড ফ্রন্ট সিট, একটি হিটেড স্টিয়ারিং হুইল, ডুয়েল জোন ক্লাইমেট কন্ট্রোল বর্তমান।

হাইড্রোজেন চালিত Honda CR-V -তে দেওয়া হয়েছে একজোড়া হাইড্রোজেন ট্যাঙ্ক। এটি পেছনের সিটের নিচে অবস্থিত, যাতে করে ফুয়েল সেল ইউনিটে শক্তি প্রেরণ করতে পারে। এটি থেকে ইলেকট্রিক মোটরে শক্তি সঞ্চারিত হয়। এই গাড়ির ফ্লোরে উপস্থিত একটি ১৭.৭ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি। পাওয়ারট্রেন থেকে উৎপন্ন হবে ১৭২ বিএইচপি শক্তি এবং ৩১০ এমএম টর্ক। গাড়িটি ভারতে আসবে কিনা, সেই প্রসঙ্গে কিছুই জানায়নি হোন্ডা।