Hyundai Creta N Line: রূপ চোখ ধাঁধিয়ে দেবে! হুন্ডাই নিয়ে এল নতুন ক্রেটা এন লাইন

এসইউভি (SUV) গাড়ি হিসেবে আজ বহু ভারতীয় নাগরিকের পথ চলার ভরসা-সঙ্গী Hyundai Creta। হট-সেলিং মডেলটির জনপ্রিয়তায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের অন্তিমে হুন্ডাই মোটর ইন্ডিয়া (Hyundai…

এসইউভি (SUV) গাড়ি হিসেবে আজ বহু ভারতীয় নাগরিকের পথ চলার ভরসা-সঙ্গী Hyundai Creta। হট-সেলিং মডেলটির জনপ্রিয়তায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের অন্তিমে হুন্ডাই মোটর ইন্ডিয়া (Hyundai Motor India) লঞ্চ করল Creta N Line। এই স্পোর্টি মডেলটির হরেক ভ্যারিয়েন্টের দাম ১৬.৮৩ লাখ থেকে ২০.৩০ লাখ টাকা (এক্স-শোরুম) ধার্য করা হয়েছে। বহিরঙ্গে যুক্ত হয়েছে নানান নতুন রঙের বিকল্প। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, Creta N Line-এ ১.৫ লিটার টার্বো পেট্রোল ইঞ্জিনের সাথে ম্যানুয়াল গিয়ারবক্স ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

Hyundai Creta N Line ভারতে লঞ্চ হল

Hyundai Creta N Line-এর কেবল ১.৫ লিটার টার্বো ইঞ্জিনে দেওয়া হয়েছে ডিসিটি অপশন। Hyundai Creta facelift SX(O) টার্বো ডিসিটি-এর তুলনায় টপ-স্পেক Creta N Line N10 DCT-এর মূল্য ৩০,০০০ টাকা বেশি রাখা হয়েছে। Creta facelift SX(O) কিনতে খরচ পড়ে ২০ লাখ টাকা (এক্স-শোরুম)।

Creta N Line গাড়িটি N8 ও N10 – এই দুই ট্রিমে অফার করা হয়েছে। উভয় ভ্যারিয়েন্টে রয়েছে ম্যানুয়াল এবং ডুয়েল ক্লাচ অটোমেটিক গিয়ারবক্স বিকল্প। হুডের নিচে রয়েছে ১.৫ লিটার টার্বো পেট্রোল ইঞ্জিন। এটি থেকে সর্বোচ্চ ১৫৮ বিএইচপি শক্তি এবং ২৫৩ এনএম টর্ক উৎপন্ন হবে।

ডিজাইনের দিক থেকে স্ট্যান্ডার্ড মডেলের তুলনায় Creta N Line অধিক স্পোর্টি। এতে রয়েছে রি-ডিজাইন গ্রিল, ফ্রন্ট বাম্পার এবং লোয়ার বডিতে রেড অ্যাক্সেন্ট। এছাড়া রয়েছে লালের স্পর্শ সমেত ব্রেক ক্যালিপার ও অন্যান্য সরঞ্জাম। মডেলটির পেছনে বাম্পার এবং একটি দৃশ্যমান ডুয়েল ট্রিপ এগজস্ট বর্তমান। গাড়িটি তিনটি মোনোটোন এবং তিনটি ডুয়েল টোন কালারে অফার করা হয়েছে। মোনোটোন কালারগুলি হল – অ্যাবিস ব্ল্যাক, অ্যাটলাস হোয়াইট এবং টাইটান গ্রে ম্যাট। অন্যদিকে ডুয়েল কালার অপশন হিসেবে রয়েছে – অ্যাটলাস হোয়াইট, শ্যাডো গ্রে এবং থান্ডার ব্লু। প্রতিটির সাথে অ্যাবিস ব্ল্যাক রুফ বর্তমান।

Creta N Line-এর কেবিনে রয়েছে অল ব্ল্যাক থিম সমেত রেড অ্যাক্সেন্ট। স্ট্যান্ডার্ড মডেলের তুলনায় ভিন্ন দর্শনের স্টিয়ারিং হুইল দেওয়া হয়েছে। আবার সিট, স্টিয়ারিং এবং গিয়ার লিভারে রয়েছে N ব্যাজিং। উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যের মধ্যে উপস্থিত ড্যাশবোর্ডে ১০.২৫ ইঞ্চি টুইন ডিসপ্লে, ১৮ ইঞ্চি অ্যালয় হুইল, ৬টি এয়ার ব্যাগ, ইলেকট্রনিক স্টেবিলিটি কন্ট্রোল, হিল হোল্ড অ্যাসিস্ট, অ্যাডাস ফিচার্স, ভেন্টিলেটেড ফ্রন্ট সিট, ডুয়েল জোন অটোমেটিক ক্লাইমেট কন্ট্রোল, প্যানরামিক সানরুফ এবং ডুয়েল ক্যামেরা সহ ড্যাশ ক্যাম।