Hyundai শুধু ইলেকট্রিক কার বেচবে 2035-এর পর, পেট্রল-ডিজেল চালিত গাড়ি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাল
এই মুহূর্তে বিশ্ব মানচিত্রে ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা হিসাবে সামনের সারিতে রয়েছে হুন্ডাই (Hyundai)। অসাধারণ সব...এই মুহূর্তে বিশ্ব মানচিত্রে ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতা হিসাবে সামনের সারিতে রয়েছে হুন্ডাই (Hyundai)। অসাধারণ সব বৈদ্যুতিক গাড়ির মডেল দক্ষিণ কোরিয়ান সংস্থাটির ঝুলিতে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল তবে কি পেট্রল ডিজেল পোড়ানো ইন্টার্নাল কম্বাশন ইঞ্জিন (ICE) পরিচালিত গাড়ির উন্নয়ন কী একেবারে বন্ধ করে দেবে তারা? কান পাতলে শোনা যাচ্ছিল নানা মুনির নানা মত। তবে সে সমস্ত জল্পনায় নিজেই ইতি টানল হুন্ডাই।
সংস্থাটির তরফে জানানো হয়েছে, ইলেকট্রিক গাড়ির পাশাপাশি তাদের কাছে প্রচলিত জ্বালানিতে চলা গাড়ির উন্নয়ন সমান গুরুত্ব পাবে। অর্থাৎ এই সংক্রান্ত যা খবর ছড়িয়েছে তা সর্বৈব ভিত্তিহীন। তবে ২০৩৫ সালের পর থেকে ইউরোপে শুধুমাত্র ব্যাটারি চালিত গাড়ি বিক্রি করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
হুন্ডাই গ্রুপের এগজিকিউটিভ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার ও রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের পূর্বতন প্রধান অ্যালবার্ট নিশ্চিত করেছেন, আইসিই পরিত্যাগের কোনও কোনোরূপ ইচ্ছা নেই তাদের। তাঁর কথায়, হুন্ডাইকে যদি আগামীতে আন্তর্জাতিক স্তরে নিজের অবস্থান ধরে রাখতে হয় সেক্ষেত্রে অবশ্যই ইন্টার্নাল কম্বাশন ইঞ্জিনের উন্নতি সাধন করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, "আমরা পরবর্তী ধোঁয়া নির্গমন নীতি অনুসরণ করে চলার চেষ্টা করছি।"
অ্যালবার্টের দাবি, আসন্ন ইউরো ৫ কার্বন নিঃসরণ নীতির অনুসারী ইঞ্জিন তৈরি করার যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। যা ২০২৫ সাল থেকে লাগু করা হবে। তবে বিশেষজ্ঞ মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যখন বিশ্বব্যাপী গাড়ি নির্মাতারা ব্যাটারি চালিত মডেল তৈরি করতে উঠেপড়ে লেগেছে তখন হুন্ডাইয়ের মতো নামকরা সংস্থা কেন ইন্টার্নাল কম্বাশন ইঞ্জিন যুক্ত গাড়ির ক্রমোন্নয়নে বদ্ধপরিকর?
এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বর্তমানে ইভি চার্জিং এর পরিকাঠামো আশানুরূপভাবে উন্নত না হওয়ায় হুন্ডাই এর মতো সংস্থা এখনও অভ্যন্তরীণ দহন ইঞ্জিন নির্মাণ বজায় রাখছে Euro 7 এর মত আগামী দিনে চালু হওয়া কার্বন নির্গমন নীতির অনুসারী ইঞ্জিন তৈরি করা যথেষ্ট কঠিন। আর বর্তমানে এই কাজেই নিজেদেরকে ব্যস্ত রাখতে চাইছেন তারা।