Hyundai ইলেকট্রিক গাড়ির জন্য আলাদা কারখানা গড়ে তুলতে চলেছে, 48 বিলিয়ন ডলারের বেশি লগ্নি
দক্ষিণ কোরিয়ার স্বনামধন্য গাড়ি নির্মাতা হুন্ডাই মোটর (Hyundai Motor) এবার তাদের জন্মভূমিতে ইলেকট্রিক ভেহিকেল উৎপাদনের...দক্ষিণ কোরিয়ার স্বনামধন্য গাড়ি নির্মাতা হুন্ডাই মোটর (Hyundai Motor) এবার তাদের জন্মভূমিতে ইলেকট্রিক ভেহিকেল উৎপাদনের জন্য এই প্রথম আলাদা কারখানা গড়ে তুলতে চলেছে। সংস্থার তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, শুধু বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরি হবে এমন উৎপাদন কেন্দ্র স্বদেশে গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। বিগত ৩০ বছরে এই নিয়ে যা দ্বিতীয়। ১৯৯৬ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রথম কারখানা খুলেছিল হুন্ডাই। প্রায় তিন দশক অতিক্রান্ত করার পর পেট্রোল-ডিজেল চালিত গাড়ির জগতে নিজেদের স্থান পাকাপোক্ত করে নিতে পেরেছে সংস্থাটি। এবার লক্ষ্য একইভাবে ব্যাটারি চালিত গাড়ি বাজারের প্রসার করা। আমেরিকায় ইলন মাস্কের টেসলা (Tesla)-র সাথে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর দিচ্ছে হুন্ডাই।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কারখানা থেকে সংস্থার দুই ইলেকট্রিক গাড়ি - Kona ও Ioniq 5 উৎপাদিত হচ্ছে। সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে Ioniq 6 ইলেকট্রিক সেডানের নাম। যা এই সপ্তাহের শেষে বিশ্ববাজারে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। আধুনিক প্রযুক্তি, ডিজাইন, শক্তিশালী মোটর এবং বড় ব্যাটারি প্যাক যুক্ত তাদের এগজিস্টিং দুই বৈদ্যুতিক গাড়ি ক্রেতাদের সুনজরে রয়েছে। তাই আপকামিং মডেল Ioniq 6 নিয়ে জোরদার জল্পনা চলছে।
হুন্ডাই জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার তাদের নতুন কারখানায় ২০২৫ সাল থেকে উৎপাদন শুরু করবে। হুন্ডাই মোটর গ্রুপ ও তার শাখা সংস্থা কিয়া ইতিমধ্যেই সে দেশে আগামী তিন বছর ধরে ৪৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা ঘোষণা করেছে। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৩ লাখ ৮২ হাজার কোটি টাকা। উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়াতে প্রস্তাবিত ম্যানুফ্যাকচারিং ফেসিলিটি সংস্থার বিশ্ব মানচিত্রে শুধু ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাণের জন্য দ্বিতীয় কারখানা হতে চলেছে।
প্রথম কারখানাটি ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগে জর্জিয়াতে গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করা হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার দখল করতেই এই উদ্যোগ। হুন্ডাই ওই কারখানায় ব্যাটারিও প্রস্তুত করার পরিকল্পনা করছে। জর্জিয়াতে প্রস্তাবিত কারখানার কাজ আগামী বছরের মধ্যেই সম্পন্ন হবে এবং উৎপাদনের কাজ দক্ষিণ কোরিয়ার কারখানার মতোই একই সময়ে চালু হবে। সংস্থার লক্ষ্য, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বজুড়ে ৩০ লাখ ব্যাটারিচালিত গাড়ি বিক্রি।