3-4 বছরে চীনকে টপকে ‘এক’ নম্বর হবে ভারত, বড় দাবি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

চীনকে টপকে বিশ্বের এক নম্বর অটোমোবাইল মেকার অর্থাৎ বৃহত্তম গাড়ি উৎপাদক দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে ভারত। আর সেটা আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যেই।…

চীনকে টপকে বিশ্বের এক নম্বর অটোমোবাইল মেকার অর্থাৎ বৃহত্তম গাড়ি উৎপাদক দেশ হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে পারে ভারত। আর সেটা আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যেই। সম্প্রতি চেক রিপাবলিকের রাজধানী
প্রাগে আয়োজিত ২৭তম ওয়ার্ল্ড রোড কংগ্রেসে এমনই লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পরিবহন মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী।

অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতে ‘এক নম্বর’ হবে ভারত

গডকড়ী জানান যে আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বড় গাড়ির বাজার হিসেবে গড়ে ওঠার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এগিয়ে চলেছে ভারত। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যেই দিল্লিতে একটি রিং রোড প্রজেক্ট – Urban Extension Road 2 এর কাজ শুরু হবে কিছুদিনের মধ্যেই। ভারতের রাজধানী শহরের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে উন্নত করতেই এই প্রয়াস। সামনের দুই-তিন মাসের মধ্যেই এই নতুন রাস্তা চালু হওয়ার ফলে দিল্লি শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে বিমানবন্দর পৌঁছানোর সময় কমে আসবে লক্ষণীয়ভাবে।

এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি গত নয় বছরের মধ্যে দেশের গাড়ির বাজারের আয়তন ৪.৫ লক্ষ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১২.৫ লক্ষ কোটি টাকা। এমন উন্নতি নিঃসন্দেহে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলেই তার মত। ক্রমাগত প্রযুক্তির মানোন্নয়নের ফলে জাপানের মত দেশকে পিছনে ফেলে ইতিমধ্যেই অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রিতে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে ভারত। সামনে রয়েছে কেবলমাত্র আমেরিকা ও চীন।

এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ। মধ্যে প্রধান কয়েকটি হল প্রযুক্তিবিদ্যার উন্নতি, কম খরচে পাওয়া শ্রমিক ও সর্বোপরি ভারত সরকারের প্রগতিশীল পরিকল্পনা। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক ভেহিকেলের সবচেয়ে বড় নির্মাতা ইলন মাক্সের সংস্থা Tesla ভারতে উৎপাদন পরিকাঠামো তৈরির পরিকল্পনা করছে। অন্যদিকে বৈদ্যুতিক গাড়ির জগতে আরও এক স্বনামধন্য নাম BYD ইতিমধ্যেই ভারতের লঞ্চ করে চলেছে বিভিন্ন মডেল।

চৈনিক সংস্থাটি ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছিল ভারতে। যদিও দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপড়েন থাকার দরুণ সরকার এই পরিকল্পনা পত্রপাঠ বাতিল করেছে। বছর দুই আগে কোভিড মহামারী আসার পর থেকেই গোটা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও সেমিকন্ডাক্টর চিপের আকাল দেখা যায়। এই সমস্যায় ব্যাপক জর্জরিত হয় এদেশের গাড়ির বাজার। যদিও পরবর্তীতে সেই সমস্যা অনেকটাই দূর করা গিয়েছে।