Hydrogen Fuel: বৈদ্যুতিক ও হাইড্রোজেন জ্বালানি চালিত গাড়ি তৈরির জন্য ইনসেন্টিভ স্কিমে সংস্কার কেন্দ্রের

জ্বালানি তেলের উপর নির্ভরতা কমাতে ও পরিবেশ দূষণ রোধে বদ্ধপরিকর কেন্দ্রীয় সরকার। তাই গাড়ি শিল্পের জন্য প্রস্তাবিত ৮...
SHUVRO 6 Sept 2021 12:56 PM IST

জ্বালানি তেলের উপর নির্ভরতা কমাতে ও পরিবেশ দূষণ রোধে বদ্ধপরিকর কেন্দ্রীয় সরকার। তাই গাড়ি শিল্পের জন্য প্রস্তাবিত ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ইনসেন্টিভ স্কিম বা 'উৎসাহ ভাতা' সংস্কারের পথে হাঁটছে কেন্দ্র। এবার থেকে এই আর্থিক সুবিধা প্রকল্পের আওতায় কেবলমাত্র বৈদ্যুতিক গাড়ি ও হাইড্রোজেন জ্বালানি চালিত গাড়ি নির্মাতাদের উৎসাহিত করার লক্ষ্য নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই পরিকল্পনার সাথে ওয়াকিবহল দু'টি সূত্র সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এর আগে সরকারের মূল পরিকল্পনা ছিল, প্রধানত পেট্রোল গাড়ি ও তার যন্ত্রাংশ তৈরি করে দেশে বিক্রি ও বিদেশের বাজারে রপ্তানি করার জন্য নানা সংস্থাকে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা দেওয়া। কিন্তু এখন পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির উপর জোর দিতে আগ্রহী কেন্দ্র।

প্রসঙ্গত, চড়া করেই (ট্যাক্স) যে আটকে টেসলার ভারতে আসা, সে কথা আগেই শুনিয়েছেন টেসলার কর্ণধার ইলন মাক্স। বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে অন্তত সাময়িক ভাবে শুল্ক কমানোর আশাপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। সরকার অনুরোধটি বিবেচনা করছে ঠিকই। কিন্তু মোদি সরকার চাইছে, এ দেশেই টেসলা তাদের বৈদ্যুতিক গাড়ির কারখানা গড়ে তুলুক। বৈদ্যুতিক গাড়ি ও হাইড্রোজেন জ্বালানি চালিত গাড়ি নির্মাতাদের জন্য ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ইনসেন্টিভ স্কিমের যে নতুন প্রস্তাবনা আনা হচ্ছে, তা টেসলার কাছে সদর্থক বার্তা নিয়ে যাবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

একটি সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, সরকার আর পুরনো প্রযুক্তি নিয়ে আগ্রহ দেখাতে চাইছে না৷ তবে অটো পার্টস নির্মাতারা পরিবেশবান্ধব গাড়ির যন্ত্রাংশ তৈরির পাশাপাশি নিরাপত্তা সংক্রান্ত পার্টস উৎপাদন এবং অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তি যেমন সংযোগকারী গাড়িতে ব্যবহৃত সেন্সর এবং রাডার, অটোমেটিক ট্রান্সমিশন, ক্রুজ কন্ট্রোল এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্সে বিনিয়োগের জন্য ইনসেন্টিভ পাবে।

দ্বিতীয় সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, ভারতে তৈরি হয় না কিন্তু আমদানি করতে হয়, ক্রেতাদের চাহিদায় থাকা এমন প্রযুক্তির বিকাশে উৎসাহ দেওয়াটাই উদ্দেশ্য সরকারের। সূত্র আরও জানিয়েছে, ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রাথমিক আর্থিক সুবিধা প্রকল্পে পরে কাটছাঁট করা হতে পারে। এছাড়া ভারতের বাজারে বিক্রি ও রপ্তানির উপরে প্রযোজ্য পিএলআই (প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ) স্কিম যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। যদিও ভারতের শিল্প ও অর্থ মন্ত্রকের তরফে এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

Show Full Article
Next Story