চীনকে টপকে Skoda-র তৃতীয় বৃহত্তম বাজার হিসাবে আত্মপ্রকাশ করল ভারত
ভারতীয় গাড়ির বাজার যে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে অগ্রসর হচ্ছে তা সম্প্রতি Skoda এর ব্যবসার হিসাব নিকাশের পরিসংখ্যান থেকে...ভারতীয় গাড়ির বাজার যে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে অগ্রসর হচ্ছে তা সম্প্রতি Skoda এর ব্যবসার হিসাব নিকাশের পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দেশে তাদের ব্যবসায় উন্নতি সাধনের চেষ্টা করে গেছে ফোক্সভাগেন গোষ্ঠীর অধীনস্থ চেক রিপাবলিকের এই বিলাসবহুল গাড়ি নির্মাতা। অবশেষে ভারতের বাজারে স্কোডাকে সাফল্যের মুখ দেখিয়েছে দুটি নতুন এসইউভি ও একটি সেডান মডেল। এগুলি হল - Kushaq কম্প্যাক্ট এসইউভি, Kodiaq এসইউভি, এবং Slavia সেডান। স্কোডার ব্যবসা এতটাই উন্নতি হয়েছে যে বিক্রির নিরিখে চীনকে টপকে তৃতীয় স্থানে চলে এসেছে আমাদের দেশ।
চলতি বছরের প্রথমার্ধে চীনকে পিছনে ফেলে বিশ্ব মানচিত্রে স্কোডার তৃতীয় বৃহত্তম বাজার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে ভারতবর্ষ। ২০২২ এর প্রথম ছয় মাসে জার্মানিতে ৬৩,৪৫৪ ইউনিট গাড়ি বেচেছে তারা। ফলে এটাই তাদের বৃহত্তম বাজার। এর ঠিক পরেই রয়েছে স্কোডার নিজের দেশ চেক রিপাবলিক। সেখানে ৩৫,৪৬৯টি গাড়ি বেচেছে তারা। আর ২৫,৯৪৮ ইউনিট বিক্রির মাধ্যমে তালিকায় তৃতীয় স্থান দখল করে আছে ভারত।
পরবর্তী দুই স্থানে রয়েছে চীন ও যুক্তরাজ্য। সেখানে যথাক্রমে ২৪,৭০০ ও ২২,৮৮৮ ইউনিট গাড়ি বিক্রি হয়েছে। তবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধের কারণে সেই দেশ বিক্রি যে যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে কথা স্বীকার করে নিয়েছে স্কোডা। আসলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের বাজার বরাবরই তাদের কাছে লাভজনক। ২০২১ সালে রাশিয়াতেই ৯০,০০০টি গাড়ি বেচেছিল স্কোডা। ফলে রাশিয়া স্কোডার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজারের স্বীকৃতি পেয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ফোক্সভাগেন গোষ্ঠী ভারতে স্কোডার 2.0 প্রকল্পের অংশ হিসাবে ৮,০২৪ কোটি টাকা বিনিয়োগে আগ্ৰহী বলে জানিয়েছিল। আসলে সংস্থার এক সময়কার রমরমিয়ে চলা ভারতীয় বাজারকে পুনরায় দখল করতে তাদের এই প্রয়াস। জুলাইয়ে স্কোডা পরিবারে ৪,৪৪৭ নতুন গ্রাহক যুক্ত হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৪ শতাংশ বেশি।
সম্প্রতি স্কোডার ভারতীয় শাখার ডিরেক্টর বলেছিলেন, "Kodiaq SUV মডেলটি জানুয়ারি মাসে লঞ্চ হওয়ার পরেই সম্পূর্ণরূপে বিক্রি করা গিয়েছে। আমরা ঠিক এই পরিমাণ উন্মাদনাকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই যাতে চলতি বছরকে স্কোডার সর্বোচ্চ বিক্রি হওয়া বছর হিসাবে তুলে ধরতে পারি"। উল্লেখ্য, বর্তমানে আমাদের দেশে মোট ২০৫টি টাচ পয়েন্ট রয়েছে স্কোডার। চলতি বছরের শেষের মধ্যে সংখ্যাটি বাড়িয়ে ২৫০ করাই তাদের লক্ষ্য।