Nitin Gadkari: আগামী পাঁচ বছরে ভারতের অটোমোবাইল শিল্প হবে বিশ্বের মধ্যে এক নম্বর

ভারতের অটোমোবাইল (Automobile) শিল্প হবে বিশ্বের মধ্যে এক নম্বর। এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন...
techgup 14 Nov 2021 6:41 PM IST

ভারতের অটোমোবাইল (Automobile) শিল্প হবে বিশ্বের মধ্যে এক নম্বর। এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী (Nitin Gadkari)। তাঁর কথায় আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ি রপ্তানিতে ভারতের স্থান হতে চলেছে সর্বাগ্রে।

নিতিন গডকড়ী এ প্রসঙ্গে বলেছেন, “ভারতের ভবিষ্যৎ অতি উজ্জ্বল, বর্তমানে এদেশে অটোমোবাইল ক্ষেত্রে ৭.৫ লক্ষ কোটি টাকা লেনদেন হয়। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে এই লেনদেনের অঙ্কটি ১৫ লক্ষ কোটি টাকায় দাঁড়াবে, এবং এই শিল্পক্ষেত্র থেকে সর্বাধিক কর্মসংস্থান তৈরি হবে। পাশাপাশি রপ্তানি বৃদ্ধির ফলে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারগুলি ভালো রাজস্ব পাবে।”

অনন্তকুমার মেমোরিয়াল লেকচারের প্রথম সংস্করণের ভার্চুয়াল সভা থেকে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ইলেকট্রিক কার, স্কুটার, বাস, অটোরিকশা এবং ট্রাক রপ্তানি তথা ভারতের সমগ্র অটোমোবাইল শিল্পকে বিশ্বের এক নম্বরে নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন গডকড়ী। তিনি যোগ করেছেন, “আমাদের লক্ষ্য আমদানি কমিয়ে রপ্তানি বৃদ্ধি করা, এবং একই সাথে আমরা বাস্তুশাস্ত্র এবং পরিবেশ সম্পর্কেও সতর্ক। ভারতীয় সমাজের তিনটি প্রধান স্তম্ভ হচ্ছে অর্থব্যবস্থা, নীতিশাস্ত্র এবং বাস্তুশাস্ত্র ও পরিবেশ। মনে রাখতে হবে, আমরা ভারতকে বিশ্বের এক নম্বর অর্থনীতির দেশ হিসেবে তুলে আনতে চাই।”

প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমারের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে দেওয়া ভাষণে এলএনজি-এর প্রচার, ব্যবহারের অযোগ্য জল থেকে সবুজ হাইড্রোজেন, ইথানল, বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং ফ্লেক্স ইঞ্জিন - এই বিষয়গুলোর উপরও আলোকপাত করেছেন গডকড়ী। পাশাপাশি দেশের স্টার্টআপ সংস্থাগুলির সামনে এগিয়ে চলাকে বাহবা জানিয়েছেন তিনি। এছাড়াও দেশের জনগণের প্রতি তিনি বৈদ্যুতিক অথবা ফ্লেক্স ইঞ্জিন চালিত গাড়ি কেনার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

একইসাথে দেশের হাইওয়েগুলি সম্পর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মন্তব্য করেছেন, “আমি যখন মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পেয়েছিলাম তখন দেশের হাইওয়ে ছিল ৯৫,০০০ কিমি, এবং বর্তমানে সেটি হয়েছে ১,৪৭,০০০ কিমি। এর আগে সড়ক নির্মাণের পরিমাণ ছিল প্রতিদিনে ২ কিমি, এখন প্রতিদিনে ৩৮ কিমি সড়ক তৈরি হয়। এখন জাতীয় সড়ক নির্মাণে আমরা বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছি।”

Show Full Article
Next Story