মোদী সরকারের বিশাল ঘোষণা, দেশজুড়ে প্রায় 7,500 চার্জিং স্টেশন বসাতে 800 কোটি টাকা মঞ্জুর
বৈদ্যুতিক যানবাহনের জনপ্রিয়তা বাড়াতে মরিয়া ভারত সরকার। জলবায়ু পরিবর্তনের ধারাকে প্রতিহত করতেই এই পদক্ষেপ কেন্দ্রের।...বৈদ্যুতিক যানবাহনের জনপ্রিয়তা বাড়াতে মরিয়া ভারত সরকার। জলবায়ু পরিবর্তনের ধারাকে প্রতিহত করতেই এই পদক্ষেপ কেন্দ্রের। যার জন্য দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপের ঘোষণা করা হল। ভারী শিল্প মন্ত্রকের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে ফেম ২-এর আওতায় ৮০০ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।
দেশে ইভি ফাস্ট চার্জিং বসানোর জন্য ৮০০ কোটি টাকা দেবে সরকার
এই অর্থ দেশে ফাস্ট ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন বসানোর জন্য ব্যয় করা হবে। যার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তিনটি রাষ্ট্রায়ত্ত তেল বিক্রয়কারী কোম্পানিকে (ওএমসি)। তারা একযোগে এদেশে মোট ৭,৪৩২টি পাবলিক ফাস্ট চার্জিং স্টেশন গড়ে তুলবে। এই তিন সংস্থা হল – ইন্ডিয়ান অয়েল (আইওসিএল), ভারত পেট্রোলিয়াম (বিপিসিএল) এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম (এইচপিসিএল)।
২০২৪-এর মার্চের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে
মার্চ, ২০২৪-এর মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাওয়ার আশা করা হচ্ছে বলে মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়েছে। বর্তমানে সমগ্র ভারতে ৬৫৮৬টি চার্জিং স্টেশন আছে। এই প্রসঙ্গে বিবৃতি প্রকাশ করে ভারী শিল্প মন্ত্রক জানিয়েছে, “নতুন ৭,৪৩২টি পাবলিক চার্জিং স্টেশন নির্মাণ, ভারতের ইলেকট্রিক ভেহিকেলের ইকো সিস্টেমে অতি তাৎপর্যপূর্ণ। এখান থেকে বৈদ্যুতিক দুই ও চার চাকার গাড়ি, লাইট কমার্শিয়াল ভেহিকেল এবং মিনি বাস – চার্জ করানো যাবে বলে জানানো হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে ভারী শিল্প মন্ত্রী মহেন্দ্র নাথ পান্ডে বলেন, এই পদক্ষেপ ভারতের ইলেকট্রিক ভেহিকেল ইকোসিস্টেম শক্তপোক্ত এবং পরিবেশবান্ধব যানবাহন কিনতে দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবে। তিনি যোগ করেন, দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলার বিষয়ে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘নেট জিরো অভিযান’-এর আওতায় কার্বন নির্গমন কমানোর নিরন্তর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।