এয়ারব্যাগের ঘাটতি, যাত্রী সুরক্ষায় কেন্দ্রের কঠোর নিয়ম দেড় বছর পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা
এ বছরের শুরু থেকে ভারতের সমস্ত যাত্রীবাহী গাড়িতে কমপক্ষে ৬টি এয়ারব্যাগ সংযুক্ত করার বিষয়ে বারংবার সুর চড়িয়ে আসছিল...এ বছরের শুরু থেকে ভারতের সমস্ত যাত্রীবাহী গাড়িতে কমপক্ষে ৬টি এয়ারব্যাগ সংযুক্ত করার বিষয়ে বারংবার সুর চড়িয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এাবছরের ১ অক্টোবরকে এই কড়া বিধি বলবৎ করার দিন হিসেবে পূর্বে ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাবনা থেকে সরে আসতে চলেছে মোদি সরকার। শোনাাযাচ্ছে, যাত্রী সুরক্ষায় ওই কঠিন বিধি কার্যকর হওয়ার বিষয়টি ১৮ মাস অর্থাৎ দেড় বছর পিছানোর পথে হাঁটতে পারে ভারত সরকার।
শিল্প সংস্থাগুলি সূত্রে খবর, এই নতুন বিধি চালু হলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বে এয়ারব্যাগ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলি। কারণ ভারতের বর্তমানে পর্যাপ্ত পরিমাণে এয়ারব্যাগ উৎপাদনের সক্ষমতা নেই। এই মুহূর্তে যদি সরকারে নতুন বিধি জারি হয়, তবে সমস্ত গাড়িতে এয়ারব্যাগের জোগান দিতে মোট ১.৮ কোটি ইউনিটের প্রয়োজন হবে। যা বর্তমান ব্যবস্থার তুলনায় প্রায় তিনগুণ। এই বৃহৎ পরিমাণ এয়ারব্যাগের জোগান দেওয়া বর্তমানে অসম্ভব। তাই এই সিদ্ধান্ত কিছুমাস পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভারতে মোট ৩০,৪৫,৪৬৫ ইউনিট যাত্রী গাড়ি বিক্রি হয়েছে। যা আগের বছরের চাইতে ১২% বেশি। এবছরের শুরুতে সব যাত্রী গাড়ির সামনের সারিতে একজোড়া এয়ারব্যাগ দেওয়া বাধ্যতামূলক হওয়ার পর ৬০ লক্ষ ইউনিট পর্যন্ত জোগান বাড়াতে হয়েছে। সকল প্যাসেঞ্জার ভেহিকেলের ১৫% মডেলে ইতিমধ্যেই ৬টি এয়ারব্যাগ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে বর্তমান পরিস্থিতির উপর ভর করে বছরে মোট ৮০ লক্ষ এয়ারব্যাগের উৎপাদনের প্রয়োজন।
এখন বাকি ৮৫% যাত্রীগাড়িতেও যদি ৬টি এয়ারব্যাগ আবশ্যক করা হয়, তবে অতিরিক্ত ১ কোটি পর্যন্ত এয়ারব্যাগের উৎপাদন বাড়াতে হয়। সেক্ষেত্রে বাজারের সমস্ত চাহিদা পূরণ করতে বছরে মোট ১ কোটি ৮০ লক্ষ এয়ারব্যাগ তৈরি করতে হবে। এই মুহূর্তে যা একপ্রকার অসম্ভব। এদিকে নির্মাতা সংস্থা সূত্রে খবর, ছ’টি এয়ারব্যাগের দাম পড়তে পারে ১২,৫০০-১৫,০০০ টাকা। নানা ট্যাক্স চাপানোর পর খরচ বাড়বে তিন থেকে চার গুণ। ফলে গাড়ির দাম অনেকটাই বাড়বে। যা ক্রেতাদের উপর বাড়তি খরচের বোঝা চাপাবে।