Electric Bike: ভারতীয় সংস্থার হাত ধরে আফ্রিকায় ইলেকট্রিক বাইক বিপ্লব

ভারতের ইলেকট্রিক টু-হুইলার স্টার্টআপ ওয়ান ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলস (One Electric Motorcycles) আফ্রিকার দেশ কেনিয়াতে তাদের ফ্ল্যাগশিপ ই-বাইক KRIDN-এর উৎপাদন শুরু করল। সংস্থাটি সে দেশের এক স্থানীয়…

ভারতের ইলেকট্রিক টু-হুইলার স্টার্টআপ ওয়ান ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলস (One Electric Motorcycles) আফ্রিকার দেশ কেনিয়াতে তাদের ফ্ল্যাগশিপ ই-বাইক KRIDN-এর উৎপাদন শুরু করল। সংস্থাটি সে দেশের এক স্থানীয় কোম্পানির সাথে হাত মিলিয়ে জয়েন্ট ভেঞ্চার ঘঠন করে এই কর্মযজ্ঞ শুরু করেছে। আফ্রিকার কারখানায় ব্যাটারি চালিত বাইক ম্যানুফ্যাকচারিং এর জন্য যাবতীয় যন্ত্রাংশ সরবরাহ ও সেগুলি অ্যাসেম্বল করার প্রযুক্তি ওই সংস্থার সাথে ভাগ করে নেবে ওয়ান ইলেকট্রিক। প্রসঙ্গত, এই প্রথম দেশের কোনও ইভি নির্মাতা আফ্রিকান মার্কেটে এমন উদ্যোগ নিল।

আফ্রিকায় বৈদ্যুতিক বাইক তৈরি কররে One Electric

২০২০-তে ভারতে লঞ্চ হওয়া One Electric KRIDN একটি কমিউটার ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল। এতে দেওয়া হয়েছে ৫ কিলোওয়াট মোটর, যা ০-৬০ কিমি/ঘন্টার গতি তুলতে ৭.৫ সেকেন্ড সময় নেয়। প্রতি ঘন্টায় বাইকটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ৯০ কিলোমিটার। ৩.৬৫ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি প্যাক ফুল চার্জে ইকো মোডে ১১০ এবং নরমাল মোডে ৮০ কিলোমিটার রেঞ্জ প্রদান করে বলে দাবি সংস্থার।

One Electric KRIDN-এর হার্ডওয়্যার কম্পোনেন্ট হিসেবে রয়েছে টেলিস্কোপিক ফ্রন্ট ফর্ক, টুইন শক অ্যাবসর্বার, ১৭ ইঞ্চি অ্যালয় হুইল, ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল ইত্যাদি। আফ্রিকার বাজারে বাইকটির ভারতীয় মডেলের সমান স্পেসিফিকেশন দেওয়া হবে কিনা, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।

আফ্রিকার মাটিতে One Electric KRIDN-এর উৎপাদন শুরুর প্রসঙ্গে সংস্থার সিইও গৌরব উপ্পল বলেন, “আমাদের প্রকৌশলীরা কেনিয়ার বাজারে মোটরসাইকেলের মান ধরে রাখতে বিশেষভাবে নজর রাখছে। আমরা খুবই অভিজ্ঞ এবং প্রযুক্তিগত দিক থেকে উন্নত একটি কোম্পানির সাথে অংশীদারিত্বে আসতে পেরে সৌভাগ্যবান।”

অন্যদিকে, সংস্থার সিটিও অভিজিৎ শাহ বলেন, “আফ্রিকার মাটিতে মোটরসাইকেল নির্মাণ করা হলে কর্মসংস্থান তৈরির সাথে অর্থনীতিও চাঙ্গা হবে।” প্রসঙ্গত, ওয়ান ইলেকট্রিক সেদেশে ই-বাইকের স্ট্যান্ড হ্যান্ডেলবার, স্ট্যান্ড, ক্যারিয়ার সহ ইত্যাদি পার্টসের স্থানীয়করণের পরিকল্পনা করছে। চাহিদা বাড়লে এই বছরের শেষে আফ্রিকাতে ব্যাটারি তৈরির প্ল্যান গড়ে তোলার ভাবনাও রয়েছে তাদের মাথায়। ভবিষ্যতে দক্ষিণ আমেরিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে রপ্তানির লক্ষ্যে এগোচ্ছে ভারতীয় সংস্থাটি।