Japan: চার চাকা দূরে সরিয়ে রেখে মোটরসাইকেল ও স্কুটারের প্রেমে মজেছে জাপানীরা, হঠাৎ কেন এমন উলট পুরাণ

সমগ্র বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তির দিক থেকে বরাবর কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকে এশিয়া মহাদেশের ছোট্ট দেশ জাপান। তা সে গাড়িতেই হোক বা অন্য যে কোনো ক্ষেত্রে,…

সমগ্র বিশ্বের মধ্যে প্রযুক্তির দিক থেকে বরাবর কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকে এশিয়া মহাদেশের ছোট্ট দেশ জাপান। তা সে গাড়িতেই হোক বা অন্য যে কোনো ক্ষেত্রে, বিশ্বমানের প্রযুক্তি দিয়ে পণ্যের আধুনিকতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে জাপানি সংস্থাগুলির জুড়ি মেলা ভার। তাই জাপানি কোম্পানির গাড়ির জনপ্রিয়তা জগৎজোড়া। যার মধ্যে আবার অগ্রণী ভূমিকা রাখে টু-হুইলার। এদিকে জাপানে টু-হুইলারের চাইতে কম্প্যাক্ট ও মাইক্রো-মিনি গাড়ি ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি। যদিও হালে বাইক ও স্কুটারের বিক্রি বাড়তে দেখা গিয়েছে সেদেশে। ইদানিং Yamaha, Kawasaki, Suzuki ও Honda-র মতো জগৎপ্রসিদ্ধ সংস্থাগুলির নিজেদের দেশে টু-হুইলার বিক্রির রেখচিত্র ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে।

সম্প্রতি ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, হালে জাপানে বাইক ও স্কুটারের বেচাকেনা উল্লেখযোগ্য হরে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেখা গেছে, বিশেষত প্রবীণরাও  টু-হুইলার চালাতে বেশি পছন্দ করছেন। আবার মোটরসাইকেলের মধ্যে ২৫০ সিসির বেশি সেগমেন্টের মডেলের বিক্রি বাড়তে দেখা গেছে। জাপানের লাইট মোটর ভেহিকেল এবং মোটরসাইকেল অ্যাসোসিয়েশনের পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২-এর প্রথম ছয় মাসে সেদেশে মোট ৫১,০৩৫টি এই ধরনের দু’চাকার গাড়ি বিক্রি হয়েছে।

আশির দশকে জাপানে মোটরসাইকেল ছিল প্রতিটি মানুষের চলাচলের সবচেয়ে প্রিয় মাধ্যম। কিন্তু সময়ের সাথে তা কমেছে, সাথে ছোট গাড়ির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এমনকি বয়ঃবৃদ্ধ প্রজন্মকেও পথ চলার জন্য বাইকের চাইতে গাড়িকেই বেশি পছন্দ করতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সময়ে যানবাহন ব্যবহারের চিত্রে উলট পূরাণ নজরে পড়েছে। জাপানে টু-হুইলার বিক্রিতে শীর্ষস্থানে রয়েছে হোন্ডা। পরবর্তী স্থানগুলি দখল করেছে যথাক্রমে কাওয়াসাকি, সুজুকি এবং ইয়ামাহা। সেদেশে টু-হুইলার বিক্রিতে এই নবজাগরণের পিছনে কয়েকটি বিষয়কে কৃতিত্ব দেওয়া হয়েছে।

গাড়ির দীর্ঘ ওয়েটিং পিরিয়ড

আমরা সকলেই জানি নতুন গাড়ি বুকিং করার পর চাবি হাতে পেতে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হয় গ্রাহককে। যেই সময়কালকে ‘ওয়েটিং পিরিয়ড’ বলা হয়ে থাকে। বিগত কয়েক মাসে সমগ্র বিশ্বের সেমিকন্ডাক্টার চিপের অপ্রতুলতার জন্য গাড়ির উৎপাদন এবং সরবরাহে ছেদ পড়েছে। আবার ২০২০ ও ২০২১-এ করোনার জন্য ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে সংস্থাগুলি। ফলে ওয়েটিং পিরিয়ড বেড়ে এক থেকে দুই মাস হয়েছে। যে কারণে অনেকেই গাড়ির থেকে মুখ ফিরিয়েছেন।

উচ্চতর আয়

করোনার কারনে দীর্ঘ সময় গৃহবন্দী থাকায় জাপানের বহু পরিবারের সঞ্চয়কৃত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই কাছেপিঠে যাতায়াতের জন্য আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা বাড়িতে একটি নতুন বাইক কিনে আনছেন। দীর্ঘদিনের আবদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তির পথ হিসেবে প্রকৃতিকে আরও বেশি করে উপভোগ করার জন্য স্কুটার এবং মোটরসাইকেল বেছে নিচ্ছেন অনেকে।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন