Flying Car: বাজারে এল উড়ন্ত গাড়ি, 101 কিমি টপ স্পিডে ছুটবে, চালাতে লাইসেন্স লাগবে না!
রাস্তায় যানবাহন নিয়ে বেরোলেই সর্বপ্রথম যে বিষয়ে আমাদের নিশ্চিত হতে হয়, তা হল সাথে লাইসেন্স রয়েছে কিনা! যদিও এখন...রাস্তায় যানবাহন নিয়ে বেরোলেই সর্বপ্রথম যে বিষয়ে আমাদের নিশ্চিত হতে হয়, তা হল সাথে লাইসেন্স রয়েছে কিনা! যদিও এখন অনেকেই ফিজিক্যাল লাইসেন্স বহন করেন না। কেন্দ্রীয় সরকারের ডিজিটাল মাধ্যমকে সহায় করেছেন বহু মানুষ। কিন্তু সে ডিজিটালই হোক বা ফিজিক্যাল, লাইসেন্স থাকতেই হবে। নতুবা গাড়ি চালানোর সময় লাইসেন্স ছাড়া ধরা পড়লে গুনতে হবে মোটা জরিমানা। ভাবুনতো, যদি এমন কোনো যানবাহন থাকতো, যেগুলি চালাতে লাইসেন্সের প্রয়োজন নেই। ইচ্ছে হলেই যে কেউ সেটি নিয়ে বেরিয়ে পড়তে পারে। তবে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে এত বাছবিচার থাকতো না। তবে জানিয়ে রাখি, এমনই এক অন্তরীক্ষ বা ফ্লাইং কার (Flying Car) বাজারে এল। যা চালাতে কোনো লাইসেন্সের প্রয়োজন পড়বে না। যে কেউ চাইলেই সেটি আকাশ ওড়াতে পারবেন।
জেটসন (Jetson) নামক এক সুইডিশ সংস্থা এমন এক ফ্লাইং কার বা eVTOL-টি নির্মাণ করেছে। যার নাম Jetson One। আমেরিকায় এটি লাইসেন্স ছাড়া চালানোর অনুমতি পেয়েছে সংস্থা। ভবিষ্যতের গগনযানটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ১০১.৪ কিমি/ঘন্টা। ব্যাটারিতে ফুল চার্জ থাকলে এটি একটানা ২০ মিনিট আকাশে উড়তে সক্ষম। জেটসন যানটির ট্রায়ালের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে।
Jetson One এ ব্যবহার করা হয়েছে টেসলা (Tesla)-র ব্যাটারি। এতে কেবলমাত্র চালকের বসার জায়গা রয়েছে। কোনো যাত্রী জন্য জায়গা বরাদ্দ নেই। উড়োযানটির মাত্র ৮৬ কেজি ওজন। আবার স্থির অবস্থায় আকাশে উড়তে এবং ল্যান্ড করতে সক্ষম এটি। হালকা ওজনের কারণে One-কে আল্ট্রালাইট এয়ারক্রাফ্টের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
One কেবলমাত্র গ্রামাঞ্চলে অথবা মরুভূমিতে চালানো যাবে। কোন শহরে বা বিমানবন্দরের আশেপাশে চালানোর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এতে। আসলে লাইসেন্সের প্রয়োজন না থাকায়, সর্বত্র চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য অর্ডার করা যাবে উড়োযানটি। ডেলিভারি পেতে ২০২৩ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। গাড়িটি কিনতে ২২,০০০ ডলার (প্রায় ১৭.৫ লক্ষ টাকা) ডিপোজিট এবং ৭০,০০০ ডলার ( প্রায় ৫৫.৬ লক্ষ টাকা) পেমেন্ট করতে হবে।