ম্যাচ শুরুর আগেই Maruti Jimny-র কিস্তিমাত, এই 10 ফিচার্সে পিছিয়ে পড়ল Mahindra Thar
আগামী জুন মাসের ৭ তারিখ ভারতের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ হতে চলেছে অফ রোড এসইউভি Maruti Suzuki Jimny। মারুতির আইকনিক...আগামী জুন মাসের ৭ তারিখ ভারতের বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ হতে চলেছে অফ রোড এসইউভি Maruti Suzuki Jimny। মারুতির আইকনিক Gypsy মডেলটির মাহাত্ম্যকেই নতুন পথে চালিত করবে জিমনি। ভারতে গাড়িটির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হল Mahindra Thar। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে দাপিয়ে বেড়ানো মাহিন্দ্রা থার এর প্লাস পয়েন্ট হল এর রোড প্রেজেন্স এবং মারকাটারি ডিজাইন। তার সাথে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে চলেছে শক্তিশালী ইঞ্জিন। যদিও সামনেই আগত মারুতি সুজুকি জিমনি এমন বেশ কিছু আকর্ষণীয় ফিচার নিয়ে আসবে যেগুলি মাহিন্দ্রা থারে অনুপস্থিত। সেগুলি কী কী একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
Maruti Suzuki Jimny vs Mahindra Thar
এলইডি প্রজেক্টর হেডল্যাম্প
মারুতি সুজুকি তার এই বহু প্রতীক্ষিত এসইউভি গাড়িটিতে এলইডি প্রজেক্টর হেডল্যাম্প ব্যবহার করেছে। এমনকি এতে থাকবে এলইডি ফগল্যাম্প। লাইফ স্টাইল সেগমেন্টের প্রথম এসইউভি হিসাবে জিমনিতে এমন এলইডি লাইট দেখতে পাওয়া যাবে। মাহিন্দ্রা থরে এখনও পর্যন্ত পুরাতন হ্যালোজেন হেডলাইট বর্তমান।
হেডলাইট ওয়াশার
মারুতি সুজুকি জিমনির আরও একটি সেরা বৈশিষ্ট্য হলো হেডলাইট ওয়াশার। হেডলাইটের সঙ্গেই যুক্ত একটি স্প্রেয়ারের মাধ্যমে নিজের প্রয়োজন মতো সমগ্র হেডলাইটের উপরিভাগকে ধুয়ে ফেলা সম্ভব হবে। সাধারণত প্রিমিয়াম মডেলগুলিতে এমন ফিচার উপলব্ধ থাকে। এর ফলে রাস্তায় চলার সময় হেডলাইটের উপরের কাছে জমা হওয়া ধুলো, ময়লা কিংবা কাদা সমস্ত কিছুই পরিষ্কার করে আলোর উজ্জ্বলতা বজায় রাখা যাবে।
অতিরিক্ত সেফটি ফিচার
গ্লোবাল এনক্যাপ এর তরফ থেকে ৪ স্টার রেটিং সমৃদ্ধ ভারতের অন্যতম সুরক্ষিত এসইউভি হল থার। যদিও এতে কেবলমাত্র দুটি এয়ার ব্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে। সে তুলনায় অনেকটাই এগিয়ে মারুতি সুজুকি জিমনি। কারণ এতে মোট ছয়টি এয়ার ব্যাগ স্ট্যান্ডার্ড হিসাবে থাকছে। পাশাপাশি মারুতির তরফ থেকে এই গাড়িটিতে EBD সহ ABS, হিল ডিসেন্ট কন্ট্রোল, হিল হোল অ্যাসিস্ট সহ আরও বেশকিছু সেফটি ফিচার দেওয়া হবে।
ওয়াশার সহ পিছনের ওয়াইপার
মারুতি সুজুকি তার পাঁচ দরজা বিশিষ্ট জিমনি এর পিছনের জানলাতেও ওয়াশারের সঙ্গে ওয়াইপার ব্যবহার করেছে। যা প্রতিটি দিকের দৃশ্য দেখার জন্য যথেষ্ট প্রয়োজনীয় একটি ফিচার।
পিছনের যাত্রীদের জন্য আলাদা দরজা
মাহিন্দ্রা থার এবং মারুতি সুজুকি জিমনির মধ্যে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হল দুটি অতিরিক্ত দরজা। মাহিন্দ্রা থারে কেবলমাত্র তিনটে দরজা থাকায় পিছনের সিটের যাত্রীদের ঢোকা এবং বেরোনো যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। এই বিষয়টিকেই গুরুত্ব সহকারে দেখেছে মারুতি। তাদের এই গাড়িটিতে পাঁচটি দরজা থাকায় কেবিনের ভেতরে ঢোকা এবং বেরোনো অনেকটাই সহজ কাজ।
পিছনের জন্য রোলিং উইন্ডো
মাহিন্দ্রা থারের আরও একটি বড় সমস্যা হল পিছনের অংশের বন্ধ কাঁচ। এর ফলে দীর্ঘক্ষণ যাত্রা করার সময় পিছনের অংশে বসা যাত্রীদের জন্য দমবন্ধকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সেই কারণেই জিমনির পিছনের দরজাগুলির কাঁচ অন্যান্য গাড়িগুলির মতোই উঠানো-নামানো করা যায়।
বড় হুইলবেস
মাহিন্দ্রা থার এর তুলনায় খানিকটা আকারে ছোট হলেও জিমনি কিন্তু বেশ বড় হুইলবেসের উপর নির্মিত। এর ফলে গাড়ির মধ্যে যাত্রীরা যেমন স্বাচ্ছন্দে বসতে পারবেন ঠিক তেমনভাবেই পিছনের দিকের বুটের অংশে অতিরিক্ত লাগেজ নেওয়া সম্ভবপর হবে।
বড় বুট স্পেস
একটি বড় আকারের সুটকেস এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যাগ অতি সহজেই মারুতি সুজুকি জিমনি এর পিছনের অংশে রাখা যেতে পারে। মাহিন্দ্রা থারের বুট স্পেস কিন্তু এর তুলনায় যথেষ্ট ছোট। নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে পিছনের দুটি সিট খোলা অবস্থায় জিমনি এর বুটের আয়তন ২০০ লিটারের বেশি। যে কোনো সাধারণ হাচব্যাক গাড়ির ক্ষেত্রে এতটা বড় বুটস্পেস দেখতে পাই আমরা। আর গাড়ির পিছনের অংশের সিট দুটি বন্ধ করে দিলে বুট স্পেস বেড়ে হবে ৩৩২ লিটার। মাহিন্দ্রা থার এর বুথ স্পেস সঠিকভাবে জানা না গেলেও তা ২০০ লিটারের কম অবশ্যই।
নয় ইঞ্চির টাচস্ক্রিন
এই সমস্ত কিছু ছাড়াও মারুতি সুজুকি এই অফ-রোড স্পেশাল গাড়িটিতে ৯ ইঞ্চির টাচ স্ক্রিন যুক্ত ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম, ওয়ারলেস অ্যাপেল কারপ্লে, অ্যান্ড্রয়েড অটো এই সমস্ত সুবিধা বজায় রেখেছে। অন্যদিকে মাহিন্দ্রা থারে ৭ ইঞ্চি ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেমের সঙ্গে স্মার্টফোন সংযুক্তিকরণ ফিচার বিদ্যমান।
অটোমেটিক ক্লাইমেট কন্ট্রোল
মাহিন্দ্রা তার এই গাড়িটির মধ্যে অটোমেটিক ক্লাইমেট কন্ট্রোল ফিচারটি এখনও পর্যন্ত যুক্ত করতে পারেনি। আগামী জুন মাসে আগত মারুতি সুজুকি জিমনিতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ফিচার হিসাবে এই অটোমেটিক ক্লাইমেট কন্ট্রোল দেখতে পাবো আমরা।