চমৎকার দেখতে মজবুত ইলেকট্রিক স্কুটার লঞ্চ করল Joy e-Bike, এক চার্জে ছুটবে 100 কিমি
ওয়ার্ডউইজার্ড (WardWizard) ইলেকট্রিক টু-হুইলার প্রস্তুতকারী ব্র্যান্ড জয় ই-বাইক (Joy e-bike) আজ ভারতের বাজারে লঞ্চ করল...ওয়ার্ডউইজার্ড (WardWizard) ইলেকট্রিক টু-হুইলার প্রস্তুতকারী ব্র্যান্ড জয় ই-বাইক (Joy e-bike) আজ ভারতের বাজারে লঞ্চ করল একটি উচ্চগতির ইলেকট্রিক স্কুটার। Mihos নামক ব্যাটারি ই-স্কুটিরটির প্রারম্ভিক মূল্য হিসেবে ১.৪৯ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) ধার্য করা হয়েছে। এটি গ্রেটার নয়ডাতে অনুষ্ঠিত ১৬তম অটো এক্সপো-র মঞ্চ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে লঞ্চ হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে মিহসে ব্যবহার করা হয়েছে পলি ডাইসাইক্লোপেন্টাডাইন (PDCPD) উপাদান। ফলে দীর্ঘ আয়ুষ্কাল লাভ করবে মডেলটি। শক্ত গঠনের জন্য সহজে ভাঙবে না কোনও অংশ।
রেট্রো স্টাইলের এই ইলেকট্রিক স্কুটারটি আরামদায়ক রাইডিংয়ের অভিজ্ঞতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি নিয়ে হাজির হয়েছে। এতে আর্গোনোমিক আকার ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যাতে জনবহুল রাস্তাতেও খুব সহজেই পাশ কাটিয়ে এগিয়ে চলতে পারে মিহস। ১,৩৬০ মিমি হুইলবেস যুক্ত স্কুটারটির সামনে রয়েছে টেলিস্কোপিক সাসপেনশন এবং পেছনে মনো রিভার্সিবেল স্প্রিং সেটআপ।
Mihos-এ শক্তির উৎস হিসাবে দেওয়া হয়েছে একটি ৭৪ ভোল্ট ৪০ অ্যাম্পিয়ার আওয়ার লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি। যা থেকে ২.৫ কিলোওয়াট আওয়ার শক্তি উৎপন্ন হয়। সংস্থার দাবি এক চার্জে স্কুটারটি ১০০ কিমি পথ দৌড়তে পারবে। আবার ৪০ কিমি প্রতি ঘন্টার গতিবেগ ৭ সেকেন্ডের কম সময় তুলতে সক্ষম এটি। এতে ইলেকট্রনিক ব্রেকিং সিস্টেম সহ একটি টুইন ডিস্ক ব্রেক রয়েছে।
এছাড়া স্কুটারটিতে স্মার্ট কানেক্টিভিটি, রিমোট অ্যাপ্লিকেশনের সুবিধা বর্তমান। যার সাহায্যে চালক ব্যাটারির অবস্থা সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। আবার রিভার্স মোড, জিপিএস সিস্টেম এবং অ্যান্টিথেফ্ট-এর সুবিধা দেওয়া হয়েছে। স্কুটারটি লঞ্চের সময় সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং চেয়ারম্যান যতীন গুপ্তে স্কুটারটির দীর্ঘায়ু, বাড়তি সুরক্ষা ও আরাম সম্পর্কে ক্রেতাদের সুনিশ্চিত করেছেন।
Mihos মেটালিক ব্লু, সলিড ব্ল্যাক গ্লসি, সলিড ইয়েলো গ্লসি এবং পার্ল হোয়াইট কালারে বেছে নেওয়া যাবে। এ জয় ই-বাইক Rockefeller নামক একটি সেমি ইলেকট্রিক বাইক অটো এক্সপো-তে প্রদর্শন করেছে। এর ফিচারের তালিকায় রয়েছে জিও ফেন্সিং, হাইড্রোলিক ব্রেক, অডিও প্লেব্যাক এবং ভেহিকেল ট্র্যাকিং ফাংশনালিটি। মোটরসাইকেলটির সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে ঘন্টায় ৭০ কিলোমিটার। এটি কবে লঞ্চ হবে তা অবশ্য ঘোষণা হয়নি।