Electric Bike: নামমাত্র খরচে কলকাতা ঘুরুন, 10 টাকায় কীভাবে অ্যাপ থেকে ই-বাইক ভাড়া নেবেন জানুন

দু’চাকায় ভর করে তিলোত্তমা ঘুরে দেখার সাধ নিয়ে যাপন করে চলেছেন অসংখ্য ভ্রমণপিপাসু। একটিবার কলকাতার দর্শনীয় স্থানগুলি স্বাধীনভাবে ঘুরে দেখতে চান। কিন্তু রাজ্যের রাজধানী থেকে…

দু’চাকায় ভর করে তিলোত্তমা ঘুরে দেখার সাধ নিয়ে যাপন করে চলেছেন অসংখ্য ভ্রমণপিপাসু। একটিবার কলকাতার দর্শনীয় স্থানগুলি স্বাধীনভাবে ঘুরে দেখতে চান। কিন্তু রাজ্যের রাজধানী থেকে বাসস্থানের বেশি দূরত্বের কারণে তা আর সম্ভব হয়ে উঠছে না। এবারে রাজ্যবাসীর এই চাহিদা পূরণ করতে এগিয়ে এল একটি সংস্থা। শহরজুড়ে চালু হয়েছে কম খরচে ই-বাইক ভাড়া দেওয়ার পরিষেবা।

অ্যাপ ডাউনলোড করে ১০ টাকায় ঘুরে দেখা যাবে কলকাতা

গত বুধবার থেকে কলকাতায় স্ব-চালিত অ্যাপ-নির্ভর ই-বাইক রেন্টাল উদ্যোগ শুরু হয়েছে। পকেটে টান না ধরিয়ে স্বল্প খরচে ঘুরে দেখা যাবে কলকাতার নানান ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান। তাও আবার কোনরকম দূষণ না ছড়িয়ে। কলকাতার বিভিন্ন পোস্ট অফিস ও ক্রসিং ছাড়াও ডকিং স্টেশন থেকে এই ব্যাটারি চালিত বাইক বা স্কুটার ভাড়ায় নেওয়া যাবে। সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রতি ঘন্টায় ২৫ কিমি। অর্থাৎ চালানোর জন্য লাইসেন্সের কোন প্রয়োজন পড়বে না। মাথাপিছু সর্বনিম্ন খরচ মাত্র ১০ টাকা। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করার জন্য ৩৫০টি ই-স্কুটার মোতায়েন করা হয়েছে।

দমদম, বেডন স্ট্রিট, ভবানীপুর, শরৎ বোস রোড, টালিগঞ্জ এবং নিউ আলিপুর – এই পাঁচটি পোস্ট অফিস ছাড়াও নয়টি ডকিং স্টেশন থেকে ই-স্কুটার ভাড়া নেওয়া যাবে। এছাড়া গড়িয়াহাট, নাকতলা এবং কসবা ক্রসিংয়ে গেলেও দেখা মিলবে। সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত পরিষেবা উপলব্ধ থাকবে।

প্রসঙ্গত, শহরে এই জাতীয় পরিষেবা এই প্রথমবার নয়। এর আগে ২০২১-এ অন্য অপারেটর পরিবেশবান্ধব দু’চাকার গাড়ি রেন্টে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। তাই দুই জায়গার আলাদা অপারেটর। Dabadigo নামক একটি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে পরিষেবা প্রদান করা হবে। একসাথে দুইজন সওয়ার করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ও ডিরেক্টর বাসবজিৎ নাগ।

Dabadigo অ্যাপ ডাউনলোড করার পর ফটো, ইমেইল আইডি, ফোন নম্বর ও পরিচয়পত্র দিয়ে রেজিস্টার করতে হবে। নথিভুক্ত হয়ে গেলে ব্যবহারকারীদের নিকটবর্তী ডকিং পয়েন্ট সম্পর্কে জানান দেবে এই অ্যাপ। ই-বাইক/স্কুটার আনলক করার জন্য অ্যাপ থেকে কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে। চলার পথে থামার প্রয়োজন হলে ‘পার্কিং অপশনে’ ক্লিক করলেই চলবে। আবার সফর শেষ করার জন্য ‘এন্ড রাইড’ অপশনে আঙুল ছোঁয়াতে হবে। পেমেন্টের জন্য রয়েছে একাধিক বিকল্প। যেমন – মোবাইল ওয়ালেট, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড।

ন্যূনতম ১০ মিনিট ও সর্বোচ্চ সারাদিনের জন্য ভাড়া নেওয়া যাবে। ১০ মিনিটে ভাড়া ১০ টাকা। ১ ঘন্টা চালালে ৬০ টাকা। সারাদিনের জন্য গুনতে হবে ৩৩৩ টাকা। ক্যাবের তুলনায় যা অনেকটাই কম বলা যায়। প্রতিটি ভেহিকেলে সেন্সর উপস্থিত। তাই যদি কেউ চুরি করার মতলব করে থাকেন, সেক্ষেত্রে অপারেটর জানতে পেরে যাবেন। তৎক্ষণাৎ সেই ব্যবহারকারীকে ব্লক করে দেওয়া হবে।

WhatsApp Follow Button

লেটেস্ট খবর পড়তে হোয়াটসঅ্যাপে

WhatsApp Logo যুক্ত হোন