Kolkata: কিলোমিটার পিছু গাড়ির সংখ্যায় দিল্লি-মুম্বাইকে টেক্কা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
কলকাতার পিঠ থেকে ভারতের রাজধানীর তকমা সরে গেলেও ঐতিহ্যে এতোটুকু ভাটা পড়েনি। ব্রিটিশ আমলের সারি সারি নির্মাণ আজও শহরের...কলকাতার পিঠ থেকে ভারতের রাজধানীর তকমা সরে গেলেও ঐতিহ্যে এতোটুকু ভাটা পড়েনি। ব্রিটিশ আমলের সারি সারি নির্মাণ আজও শহরের অন্যতম আকর্ষণ। রাজ্যের ব্যস্ততম শহর হিসেবে তিলোত্তমার রাস্তায় হাজার হাজার গাড়ি রোজ চলাচল করে। কিন্তু এই গাড়ি চলাচলের সংখ্যা যে দেশের বাকি সমস্ত শহরকে টপকে গিয়েছে, তা ঘুণাক্ষরেও আন্দাজ করা যায়নি। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। সম্প্রতি রাজ্য পরিবহন দপ্তর এবং কলকাতা পুলিশের পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি কিলোমিটারে কলকাতার রাস্তায় ২,৪৪৫টি যানবাহনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। যা কিনা মুম্বই, দিল্লির মতো দেশের ব্যস্ততম মেট্রো শহরগুলির মধ্যে সর্বাধিক।
ভারতে মেট্রো শহরগুলির মধ্যে কলকাতার রাস্তায় যানবাহনের ঘনত্ব সর্বাধিক
কলকাতার রাস্তায় চলাচল করেন এমন সকল মানুষই ট্রাফিকের বেহাল পরিস্থিতির কথা জানেন। দু’পা বাদবাদ সিগনালে দাঁড়ানোটা আজকের তিলোত্তমার রাস্তায় একটি অতি সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ফলে গন্তব্যে যাওয়ার জন্য হাতে অতিরিক্ত সময় নিয়ে না বেরোলে, সময়মতো পৌঁছানো আকাশ কুসুম ব্যাপার হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গত পাঁচ বছরে গড় যাত্রার সময় ৫ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। করোনা অতিমারির সময় থেকে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের থেকে অনেকেই মুখ ফিরিয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে জোর বাড়িয়েছেন। ফলে রাস্তায় যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
কলকাতার ১,৮৫০ কিলোমিটার রাস্তায় প্রায় ৪৫.৩ লক্ষ যানবাহন চলাচল করে। যেখানে দিল্লির ৩৩,১৯৮ কিলোমিটার রাস্তায় প্রায় ১.৩২ কোটি গাড়ি চলতে দেখা যায়। ফলে কলকাতার তুলনায় প্রতি কিলোমিটারে ঘনত্ব ৪০০% কম। করোনা সংক্রমণের সময়ে ৬.৫ লক্ষ টু হুইলার এবং ১০.৭ লক্ষ ফোর হুইলার শহরে নথিভুক্ত হয়েছিল।
কলকাতার ট্রাফিক বিভাগের এক উচ্চপদস্থ কর্তা বলেন, “ভারতীয় মেট্রো শহরগুলির মধ্যে কলকাতার রাস্তায় যানবাহনের ঘনত্ব সবচেয়ে বেশি।” তিনি ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারের প্রবণতা কমানোর জন্য বাস পরিষেবা পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০-র মার্চ থেকে ২০২২-হ মে পর্যন্ত শহরে ৭৮,১০২টি গাড়ি বৃদ্ধি পেয়েছে।