Electric Scooter: ই-স্কুটারে আর আগুন লাগবে না, বাজারে আসছে ফায়ারপ্রুফ ব্যাটারি!
সম্প্রতি ইলেকট্রিক স্কুটারে পরপর অগ্নিকান্ডের ঘটনায় উত্তাল দেশ। প্রথাগত দু'চাকা গাড়ির প্রধান বিকল্পের উপরে হঠাৎ করেই...সম্প্রতি ইলেকট্রিক স্কুটারে পরপর অগ্নিকান্ডের ঘটনায় উত্তাল দেশ। প্রথাগত দু'চাকা গাড়ির প্রধান বিকল্পের উপরে হঠাৎ করেই ভরসা হারিয়ে ফেলেছেন গ্রাহকেরা। কারণ, প্রাণের মায়া সকলেরই রয়েছে। তবে এবার দেশবাসীকে ভরসা দিয়ে ফায়ারপ্রুফ বা আগুন প্রতিরোধী ব্যাটারি লঞ্চের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করল বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা কোমাকি ইলেকট্রিক ভেহিকেল (Komaki Electric Vehicle)।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আগুনরোধী ব্যাটারি লঞ্চের প্রস্তুতি শুরু করেছে কোমাকি। গত বছর থেকেই এই বিশেষ ধরনের ব্যাটারির উপরে কাজ শুরু করেছিল তারা। এখন সেটির পেটেন্ট নেওয়ার পথে সংস্থাটি। আসলে বিগত ক'দিনে ভারতে চারটি বৈদ্যুতিক স্কুটারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে রয়েছে ওলা ইলেকট্রিক (Ola Electric), পিওর ইভি (Pure EV) এবং ওকিনাওয়া (Okinawa)-র মতো সংস্থার মডেল।
সংস্থার অপারেশন হেড সুভাষ শর্মা বলেছেন, ইলেকট্রিক ভেহিকেল আগুন লাগার মূলত তিনটি কারণ দায়ী - নিম্ন মানের লিথিয়াম সেল, ব্যাটারির ভেতর সেলের লিকেজ এবং মোটর ও ব্যাটারি কন্ট্রোলারের মধ্যে অসামঞ্জস্যতা। তিনি এও বলেন, ইন্টার্নাল কম্বাশান ইঞ্জিন অর্থাৎ পেট্রল-ডিজেল চালিত ইঞ্জিনেও বৈদ্যুতিক গাড়ির মতোই আগুন লাগার প্রবণতা রয়েছে। তাঁর কথায়, “গ্যাসোলিন (বা পেট্রল) এবং লিথিয়াম উভয়ই উচ্চ দাহ্য পদার্থ। গ্যাসোলিন যেখানে ২১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস উষ্ণতায় নিজে থেকেই জ্বলে ওঠে, সেখানে লিথিয়ামের স্ব-দহন উষ্ণতা ১৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।”
শর্মা আরও বলেন, “সুরক্ষার বিষয়টি কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে তার ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। আইসিই শিল্প বহু পুরনো, প্রাথমিক পর্যায়ে তাদেরকেও এহেন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কিন্তু বৈদ্যুতিক যানবাহন প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সময়ের সাথে এরও উন্নতি ঘটবে।” গ্রাহকদের ভরসা অর্জনের জন্য তিনি বলেন, “এই ধরনের মর্মান্তিক ঘটনা এড়াতে আমরা সেরা মানের সেল কিনছি, যাতে একটি সুরক্ষিত ব্যাটারি তৈরি করা যায়। ব্যাটারির বাইরে আমরা প্লাস্টিকের বদলে ধাতব আবরণ ব্যবহার করি।”
প্রসঙ্গত, হালে Komaki Ranger নামে এক ক্রুজার ইলেকট্রিক বাইক এবং Venice ও DT 3000 ইলেকট্রিক স্কুটার বাজারে নিয়ে এসেছে সংস্থা৷ বর্তমানে কোমাকির ৩৫০টি ডিলারশিপ রয়েছে ভারতে। ইতিমধ্যেই ২,৫০০ এর উপরে Ranger ও Venice বিক্রি করেছে তারা৷ আগামী দিনে আরও নতুন মডেলের টু-হুইলার নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।