উচ্চতা কম হলেও চিন্তা নেই, সুখে চালানোর সুবিধা দিতে বাইকে আপডেট দিচ্ছে এই সংস্থা

অস্ট্রিয়ান বাইক নির্মাতা কেটিএম (KTM) বরাবরই গ্রাহক স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখেই সাধারণ প্রোডাক্ট তৈরি করে থাকে। তবে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাডভেঞ্চার বাইক KTM 390 Adventure…

অস্ট্রিয়ান বাইক নির্মাতা কেটিএম (KTM) বরাবরই গ্রাহক স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখেই সাধারণ প্রোডাক্ট তৈরি করে থাকে। তবে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় অ্যাডভেঞ্চার বাইক KTM 390 Adventure এর মাত্রাতিরিক্ত সিটের উচ্চতা নিয়ে অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে সংস্থার কাছে। তাই অতি শীঘ্রই এই বাইকটির খানিকটা নিচু সিট ভার্সন লঞ্চ করতে চলেছে তারা। ভারতীয় রাইডারদের কথা ভেবেই মূলত আসবে হবে এটি। সূত্রের খবর, দেশজুড়ে অবস্থিত সংস্থার বিভিন্ন ডিলারদের কাছে পৌঁছতে শুরু করেছে নয়া মডেলটি। অতি শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে লঞ্চ হবে বলে অনুমান।

বর্তমানে কেটিএম এর ভারতীয় পোর্টফোলিওতে বিক্রি হওয়া 390 Adventure বাইকটির সিটের উচ্চতা ৮৫৫ মিমি, যা খানিকটা কম উচ্চতার মানুষদের জন্য যথেষ্ট সমস্যাদায়ক। সূত্রের খবর, নতুন ভ্যারিয়েন্টে সিটের উচ্চতা কমে হবে ৮৩০ মিমি। বাইকটির স্ট্যান্ডার্ড মডেলের উপরেই ভিত্তি করে আসতে চলেছে নতুন মডেলটি। প্রসঙ্গত, হালে কেটিএম নিয়ে এসেছে 390 Adventure X। যা স্ট্যান্ডার্ড মডেলের তুলনায় ৫৮,০০০ টাকা সস্তা।

KTM 390 Adventure X: ফিচার্স

সদ্য লঞ্চ করা 390 Adventure X এর দাম স্ট্যান্ডার্ড ভ্যারিয়েন্টের থেকে কম বলে বৈশিষ্ট্যে কাঁটছাট করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রথম পরিবর্তনটি হল যেখানে স্ট্যান্ডার্ড মডেলে ব্লুটুথ যুক্ত টিএফটি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে পকেট সাশ্রয়ী মডেলটিতে সাধারণ এলসিডি স্ক্রিন বর্তমান । এমনকি ট্র্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম, রাইডিং মোড, কর্নারিং এবিএস, কুইক শিফ্টার ইত্যাদির মত গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সেফটি ফিচার অনুপস্থিত তে। যদিও এলইডি লাইটিং, অফ-রোড মোড সহ ডুয়েল চ্যানেল এবিএস, স্লিপার ক্লাচ এবং ১২ ভোল্টের ইউএসবি চার্জিং সকেট পূর্বের মতোই অপরিবর্তিত রয়েছে।

KTM 390 Adventure X: ইঞ্জিন স্পেসিফিকেশন

ফিচারের কিছু ঘাটতি থাকলেও স্ট্যান্ডার্ড মডেলের ন্যায় ৩৭৩.২৭ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার লিকুইড কুল্ড ৪ ভালভ যুক্ত ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে এক্স ভার্সনে। সঙ্গে রয়েছে সিক্স স্পিড ট্রান্সমিশন সিস্টেম। এই ইঞ্জিনটি ৯,০০০ আরপিএম গতিতে সর্বোচ্চ ৪২.৯ বিএইচপি শক্তি এবং ৭,০০০ আরপিএম গতিতে সর্বাধিক ৩৭ এনএম টর্ক উৎপন্ন করতে পারে।