আইকনিক ব্র্যান্ড LML এর প্রথম বৈদ্যুতিক স্কুটার ও বাইক আজ আত্মপ্রকাশ করবে ভারতে, ফিচার্স কেমন হবে জেনে নিন

আইকনিক ব্র্যান্ড LMLএর প্রথম ইলেকট্রিক স্কুটার ও বাইক প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আজ ভারতে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। একসময় দেশীয় বাজারে একের পর এক মডেল এনে…

আইকনিক ব্র্যান্ড LMLএর প্রথম ইলেকট্রিক স্কুটার ও বাইক প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আজ ভারতে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। একসময় দেশীয় বাজারে একের পর এক মডেল এনে সাড়া ফেললেও এলএমএল অর্থাৎ লোহিয়া মেশিনারি লিমিটেডের নাম কালের যাত্রাপথে দুই চাকার জগত থেকে নাম মুছে গিয়েছে। রয়ে গেছে শুধু স্মৃতি। তবে  সমস্ত অতীত পেরিয়ে এবার নবরূপে দু’চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ির হাত ধরে পুনর্জন্ম ঘটতে চলেছে আইকনিক সংস্থাটির। তাদের প্রথম ব্যাটারি চালিত মডেল দু’টির ছবি লঞ্চের আগেই ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে। সেখান থেকে উঠে এসেছে নানা তথ্য। একনজরে দেখে নেওয়া যাক সেগুলি।

LML Star ইলেকট্রিক স্কুটার

LML নব্বইয়ের দশকের একদম শেষে Star বলে এক স্কুটার বাজারে এনেছিল। সংস্থার প্রথম বৈদ্যুতিক স্কুটারের নামও ওই মডেলের নামে রাখা হয়েছে বলেই খবর। ই-স্কুটারটির ডিজাইন অনেকটা ভবিষ্যতের কথা ভেবে তৈরি কিংবা বলা ভালো ম্যাক্সি স্কুটারের ন্যায়। স্কুটারটির চারপাশে খুবই অল্প ডিজাইন এবং লম্বা লাইন ও বডি প্যানেল দেখা যাচ্ছে। নেট মাধ্যমে ফাঁস হওয়া ছবি থেকে এটা স্পষ্ট যে স্কুটারটির সামনের অ্যাপ্রনের উপর রয়েছে এলইডি ডিআরএল এবং তার উপরে অবস্থিত হেডলাইট। সামনের অ্যাপরনটি চকচকে কালো রঙের।

স্টার ইলেকট্রিক স্কুটারের বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে বর্গাকার ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল, যার মধ্যে চার্জিং লেভেল ও রেঞ্জ সম্পর্কিত বহুবিধ তথ্য দেখা যাবে। স্কুটারটির সাইড বডি প্যানেলে ও গ্র্যাব রেলে লাল রঙের উপস্থিতি বেশ নজর কাড়ে। ব্যাটারি চালিত এই স্কুটারটির সামনে ডিস্ক ব্রেক ও টেলিস্কোপিক ফর্ক এবং পিছনে মনোশক অ্যাবজর্ভার দেওয়া হয়েছে। তাছাড়াও এর ঠিক মাঝখানে রয়েছে ইলেকট্রিক মোটর, যা চেইন দ্বারা পিছনের চাকার সঙ্গে যুক্ত।

LML ইলেকট্রিক বাইক

ফাঁস হওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছে যে, এই বৈদ্যুতিক বাইকটির ডিজাইন খুবই ইউনিক। মূলত সুপারমটো বাইকগুলির থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করা হয়েছে এটি। লম্বা ফ্ল্যাট স্টাইলের সিট, সামনে থাকা ছোট মাড গার্ড, চওড়া এলইডি হেডলাইট ও সুউচ্চ হ্যান্ডেলবার এই বাইকটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তাছাড়াও বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ট্রেলিস ফ্রেম, যা বৈদ্যুতিক স্কুটার কিংবা বাইকের ক্ষেত্রে সচরাচর দেখা যায় না। এর ট্যাংকের অংশটি খানিকটা স্টোরেজ প্রদান করে।

সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো এলএমএল ইলেকট্রিক বাইকটির সঙ্গে প্যাডেল দেওয়া রয়েছে যা সমসাময়িক অন্যান্য কোন ই-বাইকে ব্যবহার করা হয়নি। অর্থাৎ ব্যাটারি চার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার পর প্যানেলের মাধ্যমে এটি চালানো সম্ভব। এর থেকে আরও একটি বিষয় স্পষ্ট এই বাইকটি লো পারফরমেন্স মডেল হিসাবে গণ্য করা হবে। সঙ্গে রয়েছে ছোট পেটাল ডিস্ক ও বেল্ট ড্রাইভ বৈদ্যুতিক মোটর।