ভারতে কোথায় সবথেকে বেশি গাড়ি ও বাইক বিক্রি হয় জানেন? নাম শুনলে চমকে উঠবেন

বিশ্বের মধ্যে ভারত তৃতীয় বৃহত্তম অটোমোবাইলের মার্কেটে পরিণত হয়েছে। যানবাহন বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধির ফলে এটা সম্ভব হয়েছে। তবে জানেন কি বর্তমানে ভারতের কোন রাজ্যের…

বিশ্বের মধ্যে ভারত তৃতীয় বৃহত্তম অটোমোবাইলের মার্কেটে পরিণত হয়েছে। যানবাহন বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধির ফলে এটা সম্ভব হয়েছে। তবে জানেন কি বর্তমানে ভারতের কোন রাজ্যের মানুষ সবচেয়ে বেশি গাড়ি কেনেন? সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স বা সিয়াম (SIAM) পরিসংখ্যান পেশ করে জানিয়েছে, ২০২৩ সালের শেষ তিন মাস অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে মহারাষ্ট্রে দেশের মধ্যে সর্বাধিক প্যাসেঞ্জার গাড়ি বিক্রি হয়েছে। দেখা গেছে, উক্ত সময়কালে সে রাজ্যে মোট ১,২১,০৩০টি যাত্রী গাড়ি বিক্রি হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা উত্তরপ্রদেশে বিক্রিত গাড়ির সংখ্যা ১,০১,৫৬৮টি।

গাড়ি বিক্রিতে শীর্ষে মহারাষ্ট্র

পরবর্তী স্থানে রয়েছে গুজরাত ও কর্ণাটকের নাম। সিয়াম সূত্রে খবর, ওই সময়ে দুই রাজ্যে যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি হয়েছে যথাক্রমে ৮৫,৫৯৯ ও ৭১,৫৪৯ ইউনিট। তবে সবরকম গাড়ি বিক্রিতে শীর্ষস্থান দখল করেছে উত্তরপ্রদেশ। রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, ২০২৩-এর চতুর্থ ত্রৈমাসিক অর্থাৎ শেষ তিন মাসে সে রাজ্যে টু হুইলার, থ্রি হুইলার এবং যাত্রীবাহী ও বাণিজ্যিক মিলিয়ে মোট ৮,২২,৪৭২টি গাড়ি বিক্রি হয়েছে।

যোগীর রাজ্যের পরে রয়েছে মহারাষ্ট্র, গুজরাত ও তামিলনাড়ু। এই রাজ্যগুলিতে মোট যানবাহন বিক্রি যথাক্রমে ৬,৮৮,১৯২ ইউনিট, ৪,২১,০২৬ ইউনিট ও ৪,১৯,১৮৯ ইউনিট। আবার টু-হুইলার বিক্রিতেও শীর্ষে উঠে এসেছে উত্তরপ্রদেশ। উক্ত সময়ে সেখানে মোট ৬,৭৩,৯৬২টি বাইক ও স্কুটি বেচেছে সংস্থারা। তারপরেই মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু। সেখানে বিক্রি হয়েছে মোট ৫,১৫,৬১২ ইউনিট, ৩,৩৫,৪৭৮ ইউনিট ও ৩,২৪,৯১৮ ইউনিট। লিস্টে পশ্চিমবঙ্গ কত নম্বরে, সেটা অবশ্য জানা সম্ভব হয়নি।

সিয়াম আরও জানিয়েছে যে, উত্তপ্রদেশে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত সময়ে সর্বোচ্চ থ্রি হুইলার বিক্রি হয়েছে, যার পরিমাণ ২৩,৮৫৯ ইউনিট। এরপর আছে মহারাষ্ট্র (২০,৪৯৫টি), গুজরাত (১৯,৭৪৩ ইউনিট) ও বিহার (১৪,৯৫৫টি)। আবার বাণিজ্যিক সেগমেন্টে সবার আগে রয়েছে মহারাষ্ট্র (৩১,০৫৫ ইউনিট)। পরের স্থান দখলকারী উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত ও কর্ণাটকে বিক্রি হয়েছে যথাক্রমে ২৩,০৮৩ ইউনিট, ২০,৩৯১ ইউনিট ও ১৬,৯৬৬ ইউনিট।