Tata Nano-য় ধাক্কা মেরে উল্টে গেল Mahindra Thar, রসিকতা নয়! সত্যিই
ভারতবর্ষ তথা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে কয়েকটি সংস্থার গাড়ি সবচেয়ে সুরক্ষিত বলে প্রমাণিত হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম...ভারতবর্ষ তথা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে কয়েকটি সংস্থার গাড়ি সবচেয়ে সুরক্ষিত বলে প্রমাণিত হয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম ভারতীয় গাড়ি নির্মাতা টাটা মোটরস (Tata Motors)। বিভিন্ন সময়ে নানা রকম দুর্ঘটনায় টাটার গাড়ির সুদৃঢ় বিল্ড কোয়ালিটির সাক্ষী থেকেছি আমরা। এদেশের সবচেয়ে কম দামি গাড়ি ন্যানো (Nano) লঞ্চ করে ভারতবাসীকে চমকে দিয়েছিল তারা। যদিও এই গাড়ির চেহারা দেখে অনেকেই তা নিয়ে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করতে ছাড়েননি। অন্যদিকে বহু ভারতবাসীর কাছে গর্বের স্থানে অধিষ্ঠিত আরেক ভারতীয় সংস্থা- মাহিন্দ্রার তৈরি থর (Thar)। উঁচু-নিচু পার্বত্য রাস্তায় চলতে একদম তুখোড় রাফ এন্ড টাফ চেহারার এই এসইউভি। এমন দোর্দন্ডপ্রতাপ গাড়ি কিনা সামান্য টাটা ন্যানোর ধাক্কায় পাল্টি খেলো!
হ্যাঁ ঠিকই পড়েছেন। সম্প্রতি ছত্রিশগড়ের এক গাড়ি দুর্ঘটনার ছবিতে এই অবাক করা ঘটনায় সামনে এসেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী আচমকাই মাহিন্দ্রা থরের চালক ছোট রাস্তা থেকে বড় রাস্তায় উঠে পড়ায় সেই সময় সেই রাস্তা দিয়ে দুরন্ত গতিতে আসা টাটা ন্যানোর চালক তার গতিরোধ করতে না পারায় ঘটেছে এই দুর্ঘটনা। মাহিন্দ্রা থরের ঠিক এক পাশে সজোরে ধাক্কা মারে টাটা ন্যানো। আর তাতেই সম্পূর্ণ উল্টে যায় বৃহদাকার এই এসইউভি গাড়িটি।
বাস্তবিক দিক থেকে বিচার করলে এ যেন পিঁপড়ের ধাক্কায় হাতির ডিগবাজি। টাটা ন্যানোর মত এই ছোট চেহারার গাড়ির ধাক্কায় এমন দৈত্যাকার মাহিন্দ্রা থরের এমন পরিণতির পেছনে বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে অবশ্যই। এর মূলে রয়েছে সেন্টার অফ গ্রাভিটি। মাহিন্দ্রা থরের মতো এসইউভি গাড়িতে অতিরিক্ত সেন্টার অফ গ্রাভিটি কাজ করে। এই ঘটনায় থরকে এক পাশ থেকে টাটা ন্যানো জোরে ধাক্কা মারায় উচ্চ সেন্টার অফ গ্রাভিটির দরুন সম্পূর্ণ উল্টে যায় এটি।
সৌভাগ্যবশত এই দুর্ঘটনায় কেউ আহত হননি। এদিকে সুরক্ষিত গাড়ি নির্মাতা হিসেবে মাহিন্দ্রারও সুনাম রয়েছে যথেষ্ট। সম্পূর্ণ গাড়িটি উল্টে গেলেও থরের সব কটি পিলার অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। যদিও টাটা ন্যানোর সামনের অংশে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এত বীভৎস ধাক্কা লাগা সত্ত্বেও এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিতান্তই নগণ্য।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভালো টাটা ন্যানোর ইঞ্জিন যুক্ত থাকে গাড়ির ঠিক পিছনে। ফলে সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও মূল ইঞ্জিন রয়েছে অক্ষত। গাড়ি দুটির দুর্ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। বহু মানুষ তাদের নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেছেন এই পোস্টে। এমনকি অনেকেই বিভিন্ন সিনেমা এবং ওয়েব সিরিজের ডায়লগ উদ্ধৃত করে মাহিন্দ্রা থরের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন।