Maruti EVX: মারুতির প্রথম ইলেকট্রিক গাড়ি চমকে দিয়ে ভারতে হাজির, লঞ্চ কবে জানেন?
মারুতি সুজুকির (Maruti Suzuki) ইলেকট্রিক গাড়ি বাজারে আনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ ইতিমধ্যেই...মারুতি সুজুকির (Maruti Suzuki) ইলেকট্রিক গাড়ি বাজারে আনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ ইতিমধ্যেই প্রতিপক্ষরা নিজেদের পরিবেশবান্ধব মডেল হাজির করেছে। এক্ষেত্রে বেশ কয়েক পদক্ষেপ পিছিয়ে ইন্দো জাপানি সংস্থাটি। তবে এবারে সে পথে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তারা। চতুর্থ প্রজন্মের Swift-এর সাথেই এই প্রথমবার সংস্থার ফার্স্ট ইলেকট্রিক এসইউভি EVX ভারতের রাস্তায় টেস্টিং করতে দেখা গেল।
প্রসঙ্গত, টোকিওতে জাপান মোবিলিটি শো-তে গাড়ি দু'টি প্রদর্শন করেছিল সুজুকি। EVX ইলেকট্রিক এসইউভির প্রোডাকশন রেডি মডেলটি ২০২৪ সালেই আর্ন্তজাতিক বাজারে আত্মপ্রকাশ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। যেখানে ভারতে আগামী বছরের শেষে বা ২০২৫-এর শুরুতে লঞ্চ হতে পারে।
Maruti Suzuki EVX খুঁটিনাটি
গুরগাঁওতে সংস্থার কারখানার সামনে Maruti Suzuki EVX টেস্টিং করতে দেখা গিয়েছে। যদিও গাড়িটির আর্কিটেকচার সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানায়নি সংস্থা। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, একটি নতুন স্কেটবোর্ড প্ল্যাটফর্মের ওপর ভিত্তি করে আসবে এটি, যার নাম 27PL। এটি Toyota-র 40PL ইলেকট্রিক স্কেটবোর্ড আর্কিটেকচার থেকে তৈরি। গাড়িটি সুজুকির গুজরাতের কারখানায় নির্মিত হবে।
ডিজাইন ও ইন্টেরিয়র
মারুতি সুজুকি অটো এক্সপো ২০২৩ অনুষ্ঠানে প্রথম EVX-এর কনসেপ্ট মডেলটি প্রদর্শন করেছিল। এটির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, উচ্চতা এবং হুইলবেস যথাক্রমে ৪.৩ মিটার, ১.৮ মিটার, ১.৬ মিটার ও ২.৭ মিটার। স্পট হওয়া মডেলটির সাথে কনসেপ্ট ভার্সানের ব্যাপক মিল নজরে পড়েছে। এতে রয়েছে ব্ল্যাক আউট গ্রিল, L-আকৃতির হেডল্যাম্প এবং কার্ভ সহ-স্মুদ বাম্পার ও ক্রিজেস।
Maruti Suzuki EVX -এ উপস্থিত র্যাপ অ্যারাউন্ড টেললাইট, সিলভার কানেক্টেড বার, C-পিলার সহ রিয়ার ডোর হ্যান্ডেল, এবং ইন্টিগ্রেটেড রুফ স্পয়লার। রুফলাইন দেখতে কুপ মডেলের ন্যায়। ইলেকট্রিক এসইউভি-টির চতুর্দিকে রয়েছে ব্যাপক ক্ল্যাডিং। যে কারণে এতে রাগেড ডিজাইন সুস্পষ্ট।
গাড়িটির কেবিনে রয়েছে একটি বৃহৎ স্ক্রিন, টু স্পোক ইয়ারিং, ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, এসি ভেন্ট, সেন্টার কনসোলে রোটারি ডায়াল, ইলেকট্রিক্যালি অ্যাডজাস্টেবল ড্রাইভার সিট। এসইউভি গাড়িটিতে একাধিক এয়ার ব্যাগ এবং অ্যাডভান্সড ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্স সিস্টেম অফার করা হয়েছে।
পাওয়ারট্রেন
এগিয়ে চলার শক্তি জোগাতে গাড়িটিতে ৬০ কিলোওয়াট আওয়ার ক্ষমতার এলপিএফ ব্লেড সেল সহ একটি ব্যাটারি দেওয়া হতে পারে। সম্পূর্ণ চার্জে যা ৫৫০ কিলোমিটার রেঞ্জ প্রদান করতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে বাস্তবে ৪০০ কিলোমিটারের কাছাকাছি রেঞ্জ মিলবে বলেই ধরে নেওয়া যায়।