হট-কেকের মতো বিকোচ্ছে এই গাড়ি, প্রায় 1 লাখ বুকিং জমে, ডেলিভারি দিতে গিয়ে হিমশিম
ভারতে এসইউভি (SUV) সেগমেন্টে নজির সৃষ্টি করতে বদ্ধপরিকর মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki) গত বছর এদেশে তাদের Grand Vitara...ভারতে এসইউভি (SUV) সেগমেন্টে নজির সৃষ্টি করতে বদ্ধপরিকর মারুতি সুজুকি (Maruti Suzuki) গত বছর এদেশে তাদের Grand Vitara গাড়িটি লঞ্চ করেছিল। যার বুকিংয়ের পরিমাণ শুনলে চোখ কপালে ওঠার জোগার হয়। গত বছর পুজোর মরসুমে লঞ্চ হওয়া গাড়িটি এখনও পর্যন্ত এক লাখের বেশি বুকিং পেয়েছে। আবার বর্তমানে কম্প্যাক্ট এসইউভি গাড়িটির জমে থাকা বুকিংয়ের পরিমাণ ৯০,০০০-এর বেশি। ফলে ভবিষ্যতে এর ওয়েটিং পিরিয়ড বাড়বে বলেই আশা করা যায়। অর্থাৎ যারা বুকিং করে ফেলেছেন, গাড়ির চাবি হাতে পেতে তাদের আরও বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে।
Maruti Suzuki Grand Vitara-র প্রতিপক্ষ
ভারতে মারুতি সুজুকি গ্র্যান্ড ভিতারা-র প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ান দুই সংস্থার গাড়ি Hyundai Creta ও Kia Seltos। আবার গ্র্যান্ড ভিতারা-এর রিব্যাজ ভার্সন Toyota Urban Cruiser-এর সাথেও এর প্রতিযোগিতা চলে।
Maruti Suzuki Grand Vitara-র লঞ্চের সময়কাল ও দাম
উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বরে লঞ্চ হওয়া Maruti Suzuki Grand Vitara-র দাম ১০.৪৫ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) থেকে শুরু। চারটি ভ্যারিয়েন্টে উপলব্ধ এসইউভি মডেলটির টপ-এন্ড মডেলটির মূল্য ১৯.৬৫ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম)। এটি মিল্ড হাইব্রিড, স্ট্রং হাইব্রিড এবং ফোর-হুইল ড্রাইভ অপশন সহ বেছে নেওয়া যায়। এই সেগমেন্টে Grand Vitara হল প্রথম গাড়ি যেটি আবার সিএনজি (CNG) কিট সহ কেনা যায়। Grand Vitara S-CNG-এর দাম ১২.৮৫ লক্ষ টাকা থেকে ১৪.৮৪ লক্ষ টাকা (এক্স-শোরুম) পর্যন্ত।
এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে মারুতি সুজুকি নিশ্চিত করেছে যে, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ পর্যন্ত তারা Grand Vitara-র মোট ১,২২,৪৩৭ ইউনিট বুকিং পেয়েছে। আবার এ বছর জানুয়ারি পর্যন্ত এই হাইব্রিড এসইউভি গাড়িটির ৩২,০৮৭ ইউনিট ডেলিভারি করা হয়েছে। বর্তমানে জমে থাকা অর্ডারের সংখ্যা হল ৯০,৩৫০ ইউনিট। এদিকে এখন Grand Vitara-র চাবি হাতে পেতে ক্রেতাদের দুই থেকে নয় মাস অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
Maruti Suzuki Grand Vitara স্পেসিফিকেশন
Grand Vitara-র হুডের নিচে রয়েছে মারুতির নতুন প্রজন্মের কে-সিরিজের ১.৫ লিটার, ডুয়েল জেট, ডুয়েল VVT পেট্রোল ইঞ্জিন। যা থেকে ৯৯ বিএইচপি এবং ১৩৬ এনএম টর্ক উৎপন্ন হয়। গাড়িটি ৫-স্পিড ম্যানুয়াল এবং ৬-স্পিড অটোমেটিক ট্রান্সমিশন বিকল্পে বেছে নেওয়া যায়। আবার এর স্ট্রং হাইব্রিড ভেরিয়েন্ট এর সাথে উপলব্ধ ই-সিভিটি ট্রান্সমিশন।
গাড়িটির সিএনজি ভার্সনের সাথে কেবলমাত্র ম্যানুয়াল গিয়ারবক্স বিকল্প অফার করা হয়। যার আউটপুট ৮৬.৬৩ বিএইচপি এবং ১২১.৫ এনএম। মারুতি সুজুকির দাবি সিএনজি ভার্সনটি থেকে ২৬.৬ কিমি/কেজি মাইলেজ মেলে। আবার স্ট্রং ও মিল্ড হাইব্রিড ভার্সনটি যথাক্রমে ১ লিটার জ্বালানিতে ২৮ কিমি এবং ২০ কিমি পথ চলতে পারে।